• সরকারি বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির অনুদানেই ফুলেফেঁপে উঠেছে বিজেপির দলীয় তহবিল
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি ও গুয়াহাটি: ২০২৩ সালের ৪ জুন। বিহারের ভাগলপুর জেলা। নমামি গঙ্গে ঘাটের কাছেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জ নির্মীয়মাণ সেতু। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অসমের গুয়াহাটিতেও ওই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের ৮.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নির্মীয়মাণ সেতু ঘিরে তদন্তের নির্দেশ দেয় সেরাজ্যের বিজেপি সরকার। কারণ একটাই, বিহারের ভেঙে পড়া ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির হাতেই ছিল গুয়াহাটির সেতুটির বরাত। কিন্তু আইআইটি গুয়াহাটির টিম সেব্যাপারে তদন্ত করে কী রিপোর্ট দিয়েছিল, দু’বছর পরও তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে যেটা সামনে এসেছে, তা হল— ওই একই বছরে নির্মাণকারী সংস্থাটি বিজেপিকে অনুদান দিয়েছিল ৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি ‘দ্য রিপোর্টারস’ কালেকটিভ’-এর তদন্তমূলক প্রতিবেদনে ফাঁস হয়েছে এমনই একঝাঁক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের তিনটি গেরুয়াশাসিত রাজ্যেই সরকারি কাজের বরাত পাওয়া সংস্থাগুলি ঢালাও টাকা দিয়েছে বিজেপির পার্টি ফান্ডে। সেই তিনটি রাজ্য হল অসম, অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা। গত ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ দুই আর্থিক বছরে চেক ও বৈদ্যুতিন ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই তিন রাজ্য থেকে বিজেপি সংগ্রহ করেছিল প্রায় ৭৭.৬৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি (৫৯.৮৯ শতাংশ) অর্থ দিয়েছে গেরুয়াশাসিত রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছ থেকে বরাত কিংবা ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তি বা সংস্থা।

    ‘দ্য রিপোর্টারস’ কালেকটিভ’-এর রিপোর্ট বলছে, অসমে ২০২৩-২৪ সালে বিজেপির তহবিলে আসা অনুদানের ৫২.৩৪ শতাংশ দিয়েছিল সরকারি কাজের বরাত বা রেগুলেটরি ক্লিয়ারেন্স পাওয়া ব্যক্তি বা সংস্থা। ঠিক আগের বছরে এই পরিমাণটা ছিল আরও বেশি, ৬৪.৪৮ শতাংশ। একই ছবি ধরা পড়েছে অরুণাচল প্রদেশেও। ওই রাজ্যেও (২০২৩-২৪ সালে) ২০ হাজারের বেশি অনুদানের অর্ধেকই এসেছিল এমন ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে। সেই বছর ত্রিপুয়ায় বিজেপির বাক্সে এধরনের অনুদানের পরিমাণ ছিল ৬১.৭ শতাংশ। আগের বছর তা ছিল ৮৪.১২ শতাংশ।
  • Link to this news (বর্তমান)