• রক্ত নিতে গিয়ে এইডস, চার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর দেহে এইচআইভি ভাইরাস
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সাতনা: থ্যালাসেমিয়ার মতো মারণ রোগে আক্রান্ত চার শিশু। মাস কয়েক অন্তরই বেঁচে থাকার জন্য তাদের রক্ত দিতে হয়। সরকারি হাসপাতাল থেকে রক্ত নিতে গিয়ে এবার এইচআইভি আক্রান্ত হল চার শিশু। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের সাতনার। শিশুদের পরিবারের অভিযোগ, সাতনা হাসপাতালে অন্তত চারমাস আগে দুই শিশুর শরীরে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে রেওয়ার জেলা হাসপাতালেও দুই শিশুর শরীরে রক্ত দেওয়া হয়। সম্প্রতি ফের রক্ত দেওয়ার সময় পরীক্ষা করতেই ওই চারজনের রক্তে এইচআইভি পজিটিভ আসে। সকলেরই পরিবার হাসপাতালে উপর দায় চাপিয়েছে। তাদের দাবি, রক্ত দেওয়ার সময় কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই শিশুদের শরীরে বিষাক্ত রক্ত দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানায় ওই চার শিশুর পরিবার। 

    থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তদানের ক্ষেত্রে আগে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি সহ অন্য কোনও সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। এটি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা। সেই পরীক্ষাতেই চারজনের শরীরে এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। মনে করা হচ্ছে, যে রক্ত তাদের দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। বা টেস্ট কিটে এমনকিছু ত্রুটি ছিল যাতে বিষাক্ত রক্ত ধরা পড়েনি। 

    সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে দাতা রক্ত দিচ্ছেন, তাঁদের সঠিক নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সবকিছু রেকর্ড রাখতে হয়। কিন্তু সাতনা ও রেওয়া হাসপাতালের কাছে সেই রেকর্ডও নেই। এই ঘটনায় জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ইন-চার্জ ডাঃ দেবেন্দ্র প্যাটেল বলেন, আগেও ওই শিশুরা রক্ত নিয়েছে। সবসময়েই তাদের এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভই এসেছে। শুধুমাত্র শেষবার পজিটিভ আসে। তাহলে রক্ত দেওয়ার আগে পরীক্ষায় কিছু জানা গেল না কেন? সে ব্যাপারে তিনি বলেন, র‌্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে আগে পরীক্ষা হতো। তবে এখন এলিসার মাধ্যমে টেস্ট হয়। যা আরও বেশি সক্রিয়। আর তাতেই ধরা পড়ে ওই চার শিশু এইচআইভি পজিটিভ।

    ইতিমধ্যেই সাতনার জেলাশাসক ডাঃ সতীশ কুমার এস সিএমওএইচের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। কে বা কার ভুলে এহেন গুরুতর ঘটনা ঘটল, তা খুঁজে বের করতে প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি জানিয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)