• কেকের গুণমান যাচাইয়ে শতাব্দীপ্রাচীন দোকানে হানা! বড়দিনের আবহে আসরে পুরসভা
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিউ মার্কেটের একটি শতাব্দী প্রাচীন কেকের দোকানে হানা দিল কলকাতা পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা টিম। বড়দিনের আবহে কেকের চাহিদা বাড়ে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে গুণমানের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে কি না দেখতে পরিদর্শনে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে শুধুমাত্র এই প্রাচীন দোকানটি নয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কেকের দোকান এবং বেকারি ইউনিটে চালানো হচ্ছে অভিযান। বড়দিনে কেকের বেচাকেনা শহরের সর্বত্রই বেড়ে যায়। বিশেষ করে ফ্রুট, প্লাম কেক বা ড্রাই কেকের বিক্রি সবথেকে বেশি বাড়ে। এক্ষেত্রে কেকের গুণমান বজায় রেখে তৈরি হচ্ছে কি না বা কেক তৈরির উপকরণ কেমন মানের ব্যবহার হচ্ছে, তা দেখতেই ময়দানে স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত দু’দিন ধরে শহরের ১০টি কেকের দোকান এবং বেকারি ইউনিটে পরিদর্শন চালিয়েছে পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা শাখা। বিভিন্ন জায়গা থেকে কেক ও এবং কেক তৈরির উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে দু’টি বেকারি ইউনিট, তপসিয়া, মির্জা গালিব স্ট্রিট, নিউ মার্কেটের হার্ট ফোর্ড লেন, দক্ষিণ কলকাতার লর্ডস মোড়, যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড সহ মোট ১০টি জায়গায় সোম এবং মঙ্গলবার হানা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই তালিকায় নিউ মার্কেটের শতাব্দী প্রাচীন দোকানের ইউনিটটিও রয়েছে। শুধুমাত্র লর্ডস মোড় এলাকাতেই তিনটি বেকারি ইউনিটে গিয়ে কেকের নমুনা সহ অন্যান্য উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করেছে টিম। তবে কেকের গুণমান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ‘স্পট টেস্ট’ হচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হচ্ছে ল্যাবে। এই প্রসঙ্গে পুরসভার স্বাস্থ্য-আধিকারিকরা জানান, এটি রুটিন চেক। প্রতিবছর বড়দিনের আগে এই পরিদর্শন হয়। কেকের ক্ষেত্রে উপকরণ কেমন দেওয়া হচ্ছে তা দেখা হয়। বিশেষ করে ফ্রুট কেকে যে চেরি বা অন্যান্য রঙিন উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলি রং মেশানো কি না, তা দেখা জরুরি। এছাড়া ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জমে যাওয়া কেক কেউ বিক্রি করছেন কি না তাও দেখা হয় এই অভিযানে গিয়ে। এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও গাফিলতি বা ভেজাল মেশানো হয়েছে কি না তা বলা যাচ্ছে না। ল্যাবে নিয়ে গিয়ে টেস্ট করার পর তা জানা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পুরসভার এক কর্তা বলেন, বেকারি ইউনিটগুলির পরিবেশ কেমন, তাও আমাদের নজরে থাকছে। কারণ যেখানে কেক বানানো হচ্ছে সেখানে কেমন জল সরবরাহ হয় দেখা হচ্ছে। ভিতরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর থাকলে সে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানের ফুড লাইসেন্স বা ফ্যাসাই লাইসেন্স রিনিউ করা আছে কি না দেখা হচ্ছে।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে খ্রিস্টান কমিউনিটির উদ্যোগে ক্রিসমাস ফেস্টিভালের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ফেস্টিভাল চলবে। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর বন্ধ থাকবে অ্যালেন পার্ক। কলকাতা পুলিশ ২৬ ডিসেম্বর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। ফের পর্যটন দপ্তরের তরফে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে অনুষ্ঠান।
  • Link to this news (বর্তমান)