নয়াদিল্লি: দূষণে জেরবার দিল্লি। বুধবার সকালেও বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৩৭০। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে সমাধান সূত্র নিয়ে এগিয়ে এল চীন। দূষণের জেরে প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল বেজিংয়ের। কীভাবে তা সামলানো গিয়েছিল, সেই উপায় ভারতকে শেখাতে আগ্রহী চীন। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং।
ভারত ও চীনের মোট জনসংখ্যায় পার্থক্য সামান্যই। জনঘনত্বও অনেকটাই বেশি। সুতরাং দূষণের সমস্যাও যে দুই দেশেই একইরকম প্রভাব ফেলবে তা সহজেই অনুমেয়। সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৩ সালে বেজিং সহ চীনের বিস্তীর্ণ এলাকার একিউআই ৭০০ ছুঁয়েছিল। পরিস্থিতি এমনই ভয়ঙ্কর হয়, রাস্তায় বেরোনো বন্ধ হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে চীন প্রশাসন। দূষণের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা। চালু হয় একাধিক নিয়ম, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি শুরু হয় সর্বত্র। টানা ৫ বছর একইভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায় সরকার। কাজে লাগানো হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। অবশেষে ২০২৩ সালে দেখা যায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বায়ু দূষণের সূচক মাথা নামিয়েছে। দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সেইসব দিনের কথা স্মরণ করেছেন চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র। তাঁর দেশ কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল, সেই সূত্র দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সমাজ মাধ্যমে জিং লেখেন, দূষণের সঙ্গে এই লড়াইয়ের কথা ভারত-চীন দুই দেশই জানে। বিগত এক দশক ধরে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়েছে চীন। জিং আরও জানান, ধাপে ধাপে চীন কীভাবে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করেছে, তা ভারতকে জানাব আমরা। নিজের পোস্টে দিল্লি ও বেজিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে একিউআই ম্যাপের ছবি দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির একিউআই ৪৪৭ আর বেজিংয়ের মাত্র ৬৮। সদ্যই দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী সাফাই দিয়েছেন, কোনও সরকারের পক্ষে ৯-১০ মাসে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করলে ফল যে মিলবে তা বুঝিয়ে দিলেন চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র।