ক্ষমতা থাকলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুক, মোদি-শাহকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এসআইআর করেও কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বিজেপি। ফের বাংলায় জিতবে তৃণমূলই। বিজেপি গোহারা হারবে। অহেতুক বদনাম করে না করে ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়ে দেখাক বিজেপি। বুধবার এই মর্মেই মোদি-শাহর দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিষেক বলেন, বিজেপির বাংলাদেশি তত্ত্ব কোথায় গেল? নির্বাচন কমিশনই তো বিজেপির দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাছাড়া স্রেফ পশ্চিমবঙ্গ কেন, গোটা দেশের কোথাও যদি বিদেশি অনুপ্রবেশ ঘটে, তার দায় কার? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তিনি এর জবাব দিন। আর বিজেপির যেসব নেতা বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলার বদনাম করছেন, তারা কি কান ধরে জনতার কাছে ক্ষমতা চাইবেন? আছে সে হিম্মত?
তিনি জানিয়ে দেন, আবারও বলছি, ২০২৬ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের আসন গতবারের চেয়ে বাড়বে। একইসঙ্গে বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট করব না। একটা আসনও ছাড়ব না। বাংলায় বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট। যদিও এক প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানান, রাহুল গান্ধী বা ইন্ডিয়া জোটের অন্য নেতানেত্রীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমরা মোদি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটে অবশ্যই আছি। অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
সংসদে এ ব্যাপারে নিজের দলকেও কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। মঙ্গলবার রাতে দিল্লি এসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা। বুধবার বিকালে ফিরে গিয়েছেন। তারই মধ্যে বুধবার সকালে সংসদে তৃণমূলের অফিসে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, দলে শৃঙ্খলা বজায় রেখেই চলতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমন্বয়েও যেন ফাঁক না থাকে। সংসদে এসে কোনও সাংসদই যেন ব্যক্তিগত কোনও সুযোগ নিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ না করেন। এলাকার কোনও প্রয়োজনে যদি কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে লোকসভার ক্ষেত্রে মুখ্যসচেতক কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এগোন। একইভাবে রাজ্যসভার ক্ষেত্রে দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে দলের কয়েকজন নতুন সাংসদের সতর্ক করে অভিষেক বলেছেন, দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দে ঘোরাফেরা করা ভালো। কিন্তু তা ব্যক্তিগত সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে নয়। মনে রাখতে হবে, তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসার পরিচিতিতেই কিন্তু আপনাদের দর।