দুই পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান, ডালখোলা ও পুরাতন মালদহ
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ ও ইসলামপুর: জট কাটল পুরাতন মালদহ ও ডালখোলা পুরসভায়। বুধবার দুই পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচন শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নেই। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভূতিভূষণ ঘোষ। এদিন পুরসভা ভবনে এসে নতুন চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান মালদহ সদর মহকুমা শাসক সুমন মজুমদার। একই সঙ্গে ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকলেন শফিকুল ইসলাম। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বলেন, আগে পুরসভার চেয়্যারম্যান ছিলাম। এদিন দলের তরফে আমার নাম প্রস্তাব করা হলে কাউন্সিলাররা সমর্থন করেন।
এদিকে ২২ দিন পর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হতেই বিভূতির অনুগামী এবং তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের একাংশ পুরসভা ভবনের বাইরে আবির, বাজি পুড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। এই ঘটনায় পুরসভা ভবনের মধ্যেই প্রশ্ন তোলেন সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার কার্তিক ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনে জেলাজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ ফল হয়েছিল। বিধায়ক, মন্ত্রীর এলাকা এবং জেলা পরিষদেও হার মানতে হয় দলকে। তবুও তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বলে এদিন ফের সেকথা মনে করিয়ে দেন কার্তিক। বলেন, যাঁরা বাজি ফাটাচ্ছেন, তাদের বলতে চাই, নিজেদের ওয়ার্ড দেখুন, বিধানসভা ভোটে ভালো রেজাল্ট করুন, ভোটে দল যাকে প্রার্থী করবে, তাঁকে জিতিয়ে বাজি পোড়ালে শোভা পায়। এদিন সকালে পুরভবনে আসেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। বলেন, দলের নির্দেশে সব হয়েছে। কারা বাজি ফাটিয়েছেন জানা নেই। দলের কেউ এমনটা করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, সর্বসম্মতিক্রমে ডালখোলা পুরসভার নয়া চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল কাউন্সিলার তনয় দে। তবে, এদিনের এই নির্বাচনে দলের অনুমোদন ছিল না। সেপ্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, দলের অনুমোদন নেই। বিষয়টি উপরমহলে জানানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বদেশ সরকারকে সরিয়ে সুজনা দাসকে চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। সেইমতো স্বদেশ এক মাস আগেই ইস্তফা দেন। কিন্তু দলের ১৬ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ১০ জন সুজনাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মানবেন না বলে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন। ফলে সুজনাকে আর চেয়ারম্যান করা সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট সময়ে বৈঠকও ডাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। এরপর আর নির্বাচন হয়নি। অবশেষে তনয় সহ তিন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান নির্বাচনের বৈঠক ডাকেন। সেজন্য বুধবারের নির্বাচন বাতিল করতে দলের তরফে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কাউন্সিলারেরা নির্বাচন করেন। এদিন ১৬ জন কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে তনয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। এরপর অন্য কারও নাম প্রস্তাব না হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি। তনয় বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান হয়েছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডালখোলার উন্নয়ন করাই লক্ষ্য। নিজস্ব চিত্র