একাধিক ট্রলার ডোবানোর ছক ছিল বাংলাদেশি বাহিনীর, উদ্ধার দু’টি দেহ, এখনও নিখোঁজ ৩
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভিতর থেকে দুই মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল। এখনও নিখোঁজ তিনজন। তাঁদের খোঁজে সমুদ্রে তল্লাশি চলছে। এদিকে, গভীর সমুদ্র থেকে অন্য ট্রলারগুলি উপকূলে ফিরতেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক ট্রলারকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশি উপকূলরক্ষী বাহিনী। এ বিষয়ে এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী ট্রলারের মৎস্যজীবী রঞ্জিত দাস বলেন, প্রথমে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ আমাদের কাছাকাছি এসেই কোনও কথা না বলে পাথর ও সিমেন্টের বল ছুড়তে থাকে। এরপরই জাহাজটি ট্রলারে ধাক্কা মারে। তাতে সেটির মাঝের অংশ কিছুটা ভেঙে যায়। তবে ডুবে যায়নি। বরাত জোরে রক্ষা পাই আমরা। আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি ট্রলারকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। শেষমেশ জাহাজটি এফবি পারমিতা ১১ ট্রলারের দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সেটিকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আতঙ্ক এখনও কাটেনি মৎস্যজীবীদের মধ্যে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হবে বলে সংগঠনগুলি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানা নারায়ণপুর খেয়াঘাটের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসা হয়। এরপরই ওই ট্রলারের ভিতরে জমে থাকা জল পাম্পের মাধ্যমে বের করা হয়। শেষে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতেরা হলেন সঞ্জীব দাস ও রঞ্জন দাস। সঞ্জীবের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকায়। রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বখালি দুরাজপুরের বাসিন্দা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার দুটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাতে ৩৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রলার সহ মৎস্যজীবীদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাদের কাকদ্বীপ আদালতে তোলার কথা রয়েছে।