নিয়োগ দুর্নীতি? পাহাড়ের ৩১৭ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৩১৭ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। এই শিক্ষকদের নিয়োগ করেছিল গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)।
জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগে সিবিআই-কে অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জিটিএ-র দাবি, ছিল, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্ভব ছিল না। তবে আদালত জিটিএ-র ওই যুক্তি খারিজ করে জানায়, ওই একই সময়ে অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়েছে, ফলে ‘অসম্ভব’ বলে জিটিএ যে যুক্তি দিয়েছে তা ভিত্তিহীন। জিটিএ আইনের ৭৩ নম্বর ধারার উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, যে স্কুলগুলিতে নিয়োগ হয়েছে সেগুলি আইন অনুযায়ী পরিচালিত এবং রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, প্রশাসনিক ভুলের জন্য শিক্ষকদের শাস্তি না দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামল ইউনাইটেড সেকেন্ডারি টিচার্স অর্গানাইজেশন। বুধবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বিবেক ছেত্রী বলেন, ‘প্রশাসনিক ভুলের ফল শিক্ষকরা কেন ভোগ করবেন। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে সংগঠন।’