• 'বন্দে ভারত'-এর স্লিপারে ৮ ঘণ্টায় দিল্লি থেকে পাটনা
    এই সময় | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: দিল্লি–মুম্বই বা দিল্লি–বারাণসী নয়, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি চলবে দিল্লি–পাটনা লাইনে। রেল বোর্ডের কর্তারা এমনটাই জানাচ্ছেন।

    সম্প্রতি রেলের তরফে নাইট জার্নির উপযুক্ত বন্দে ভারত স্লিপারের কামরার অন্দরসজ্জার যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, সেই ছবির সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। ‘ট্রেন নয়, চলমান ফাইভ স্টার হোটেল’— এ রকম মন্তব্য করেছেন নেটিজ়েনদের অনেকে। ভারতীয় রেলের কর্তাদের কয়েক জনের কথায়, ‘তেজস এক্সপ্রেসের গতি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রযুক্তি এবং রাজধানী এক্সপ্রেসের স্বাচ্ছন্দ্য মিশলে যে ট্রেন তৈরি হবে, সেটাই ব‍ন্দে ভারত স্লিপার।’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির এই ট্রেনে পাটনা থেকে হাজার কিলোমিটার পথ পার করে দিল্লি পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৮ ঘণ্টা। ভারতীয় রেলের রোলিং স্টক বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনের স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য এতটাই মজবুত যে, সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলার সময়েও কানায় কানায় ভর্তি চায়ের কাপ থেকে চা একটুও চলকে পড়বে না।

    অন্দরসজ্জায় কিছু পরিবর্তনের জন্য বন্দে ভারত স্লিপারের দু’টি প্রোটো–টাইপকে পাঠানো হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে ভারত আর্থমুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল)–এর কারখানায়। প্রয়োজনীয় সেই পরিবর্তনের কাজ শেষ হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। এ বার যে কোনও দিন ট্র্যাকে নেমে মহড়া দিতে শুরু করবে বন্দে ভারত স্লিপার। আশা করা হচ্ছে, বছর শেষ হওয়ার আগেই সেই কাজ শুরু হবে।

    ২০১৯ সালে দিল্লি–বারাণসী লাইনে পরিষেবা শুরু করে সেমি হাই–স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার পরের ছ’বছরে এখনও পর্যন্ত দেশের সব ক’টি রেলওয়ে জ়োন মিলিয়ে মোট ১৬৪টি বন্দে ভারত চালু হয়েছে। তবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রাতভর চলে না। তার সর্বোচ্চ গতিও ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। কিন্তু বন্দে ভারত স্লিপারের যে রেক এ বার আসতে চলেছে, সেটা তৈরি করা হয়েছে শুধুই রাতে চলার জন্য। রেল জানাচ্ছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার হলেও পরিষেবার সময়ে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের বেশি তোলা হবে না।

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দে ভারত স্লিপারে সর্বাধিক ৮২৩ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনে কামরা মোট ১৬টি। এর মধ্যে ১১টি এসি থ্রি–টিয়ার (মোট ৬১১টি বার্থ), চারটি এসি টু–টিয়ার (১৮৮টি বার্থ) এবং একটি এসি ফার্স্ট (২৪টি বার্থ) কামরা থাকবে।

    ট্রেনের ভাড়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ট্রেনের ভাড়ার বিন্যাস রাজধানী এক্সপ্রেসের মতোই হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে এই ট্রেনে ‘কবচ’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি কামরাতেই থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি।

  • Link to this news (এই সময়)