আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার এসআইআর এর প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে’র নাম রয়েছে মৃতের তালিকায়। প্রতিবাদে শ্মশানে গিয়ে বসেছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জীবিত কাউন্সিলর।
আর বুধবার দেখা গেল চুঁচুড়া বিধানসভার নলডাঙার ১২০ নম্বর বুথের বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি স্নেহময় ও শিখা ভট্টাচার্যের বড় ছেলে দেবময় ভট্টাচার্যকে মৃত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দেবময় গত চার বছর ধরে জামশেদপুরের বাসিন্দা। সেখানে স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে থাকেন চাকরির সুবাদে। জামশেদপুরেই তাঁর ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। তাই এরাজ্যে এসআইআর শুরু হতেই বিএলও’কে সব তথ্য দিয়েছিলেন দেবময়ের বাবা। জামশেদপুরের ভোটার কার্ডও দেখিয়েছিলেন বিএলওকে। দেবময় নিজে বিএলও’র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। অথচ তালিকা বের হতেই দেখা গেল তাঁর নামের পাশে মৃত লেখা।
বিএলও মলয় দত্তকে বিষয়টি জানান দেবময়ের মা–বাবা। বিএলও তাঁদের টেলিফোনে জানান, তাঁর কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেবময় ও মনিকার নাম অন্য জায়গায় রয়েছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যে তালিকাভুক্ত। সেখানে কি করে মৃত তালিকায় নাম এল তা বুঝতে পারছেন না। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। মনিকার নাম ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত দেখালেও দেবময়ের পাশে লেখা মৃত।
বৃদ্ধ দম্পতি জানান, ‘এটা কি করে মেনে নিই বলুন তো। আমার ছেলে জীবিত অথচ তাঁকে মৃত বলে দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা ভুল। এই ভুল যে করেছে তাঁকেই সংশোধন করতে হবে। আমরা এই বয়সে দৌড় ঝাঁপ করতে পারব না।’
দেবময় বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। বর্তমানে কাতারে রয়েছেন। সেখান থেকে ফোনে বলেন, ‘এরা জীবিত মানুষকে মৃত বলে দিচ্ছে। কিছু বলার নেই। আমি আর আমার স্ত্রী জামশেদপুরে থাকি। তাই আবেদন করেছিলাম নলডাঙা থেকে নাম কাটিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি নিজে বিএলও’র সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরও এরকম হলে সেটা মানসিক অত্যাচার।’
এদিকে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু করছে নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালের (রাজ্যে এর আগে শেষ এসআইআর হয়েছিল ওই বছরে) ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র দেখাতে পারেননি ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৩ জন ভোটার। ওই ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের প্রত্যেকের কাছেই নোটিশ যাবে। নোটিশ দেওয়ার পর সাত দিন সময় দেওয়া হবে ভোটারদের। কোথায়, কখন শুনানি হবে, তা নোটিশেই বলে দেওয়া হবে।