আজকাল ওয়েবডেস্ক: পেরিয়ে গেছে ১৬ ঘণ্টা। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার নিউটাউনের ঘুনি বস্তিতে। আগুনে পুড়ে ছাই একের পর এক ঝুপড়ি। মাথার উপরের ছাদটুকুও নেই বাসিন্দাদের। ঘরছাড়া বাসিন্দাদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক। শীতের রাতে কোথায় ঠাঁই নেবেন, কীভাবে শীতের থেকে বাঁচবেন, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
আগুনে পুড়ে ছাই নিউটাউনের ঘুনি বস্তি। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও বেশ কিছু জায়গায় এখনও আগুন জ্বলছে। সেই আগুন নেভানোর জন্য আজ সকাল থেকে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন কাজ একনাগাড়ে কাজ করছে। ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
গতকাল বুধবার দমকলের ২০ থেকে ২৫টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়, লাগাতার প্রয়াসে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আগুন নিভলেও বেশ কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে এখনও। এবং কিছুটা কুলিং ডাউন প্রসেসের জন্য বৃহস্পতিবার সকালেও দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন কাজ করছে। শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেও অনুমান দমকল কর্মীদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ ঘুনি বস্তিতে আগুন লাগে। এই এলাকায় প্রচুর অস্থায়ী ঝুপড়ি ছিল। শুষ্ক আবহাওয়া থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। আজকের সকালেও দূরদূরান্ত পর্যন্ত দেখা গেছে কালো ধোঁয়া।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর ঘুনি এলাকায় বস্তিতে আগুন বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে। আচমকাই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান বাসিন্দারা। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় দমকলে। তড়িঘড়ি দমকলের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ক্রমেই আরও একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি নিউটাউন থানার পুলিশ পৌঁছয় সেখানে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে ঝুপড়ির ভিতরেই। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণেই হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি সেই প্রসঙ্গেও। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পুড়ে ছাই অন্তত ২০টি ঝুপড়ি। একইসঙ্গে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বস্তি এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে প্রথমে দমকলের ইঞ্জিন ঝুপড়ির কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। পরে বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দু'টি ইঞ্জিন প্রবেশ করেছে ভিতরে।