ফের কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন। এ বার কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টিতে। যতদূর খবর, অক্সিজেন সিলিন্ডারের গোডাউনে বিস্ফোরণ থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। একের পর এক সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল যে ২ কিমি দূর থেকেও আওয়াজ শুনতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে উপস্থিত হয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তাদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
কখন লাগে আগুন?
রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা যাচ্ছে। আগুনটা লাগে কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টির ১৫০ ঘোষবাগান লেনের একটি অক্সিজেন গোডাইনে।
আগুন লাগার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণে শব্দ শুনতে পান। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ আসতে শুরু করে। তখন তারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। তারপর দেখেন দাউ দাই করে জ্বলছে আগুন।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলির বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল অনেকটাই বেশি। মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে ১০০টিরও বেশি সিলিন্ডার ফেটে যায়। এমন অবস্থায়, আশপাশের একাধিক বাড়ির কাচ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট হওয়া কম্পনের জন্য ভেঙে যায় বলে খবর। এখানেই শেষ নয়, বিস্ফোরণের জন্য কয়েকটি সিলিন্ডার কয়েকশো মিটার দূরে উড়ে গিয়েও পড়ে। রাস্তায় এবং বাড়িতেও উড়ে যায় সিলিন্ডার।
আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কারণ, এই সিলিন্ডারের গোডাউনের পাশেই রয়েছে লোহার গোডাউন এবং প্লাস্টিকের গোডাউন। সেখানেও আগুন ধরে যায়। এছাড়া ঘটানাস্থল থেকে একটি সিলিন্ডার নাকি উড়ে গিয়ে পড়ে পাশের সুতোর কারখানায়। সেই জায়গাতেও ভয়াবহ আগুন ধরে যায়।
নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আগুন
পরিস্থিতি বুঝে সেখানে পৌঁছে যায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তাদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে খবর। যদিও এই আগুনের ফলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে একাধিক বাড়ির। কিন্তু এখনও কোনও হতাহতের খবর নেই।
এই ঘটনার পর সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে। এখন দমকল আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে।