• উল্টানো ট্রলারে দুই মৎস্যজীবীর দেহ
    আনন্দবাজার | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • মাঝসমুদ্রে উল্টে যাওয়া ভারতীয় ট্রলারের ভিতর থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ। অভিযোগ, সোমবার বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের ধাক্কায় উল্টে যায় সেটি। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর ঘাটের কাছে ট্রলারটি টেনে আনার পরে উদ্ধার হয় সঞ্জীব দাস (৫৬) ও রঞ্জন দাসের (৫০) দেহ। পুলিশ জানায়, সঞ্জীবের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরে। রঞ্জন ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবী।

    বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী কার্যত হামলা চালিয়ে ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়, অভিযোগ উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীেদর। আপাতত তাঁরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে ট্রলারগুলি মাঝসমুদ্রে মাছ ধরছিল, সেগুলিও ফিরে আসছে।

    কাকদ্বীপের মাইতিচকের সুজন দাস জানান, তাঁদের ট্রলার-সহ চারটি ভারতীয় ট্রলার ভুল করে আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছিল। সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ জাল ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সুজনের দাবি, “দূর থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড লেখা একটি জাহাজ এগিয়ে আসতে দেখা যায়। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে চারটি ট্রলারই ফিরে আসার চেষ্টা করে। তিনটি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়লেও ইঞ্জিনে সমস্যা থাকায় আমাদের ট্রলার পিছিয়ে পড়ে।” সুজনের অভিযোগ, তীব্র গতিতে আসা জাহাজের ধাক্কায় উল্টে যায়। ট্রলারে হাল ধরেছিলেন রাজদুল আলি (এখনও নিখোঁজ)। তাঁর দিকে বল্লম ছোড়া হয়।

    এই আবহে, মঙ্গলবার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দু’টি বাংলাদেশি ট্রলার-সহ ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যায় ধৃতদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় হস্তান্তর করা হয়। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, “অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)