শুক্রে অভিষেকের সাক্ষাৎ নয় সোনালির সঙ্গে, কারণ কী?
আজকাল | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘ লড়াই শেষে সীমান্ত পেরিয়ে নিজের দেশে ফিরেছেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন। শুক্রবার তাঁর কালীঘাটে আসার কথা ছিল। কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের। অভিষেক নিজেই বুধবার জানিয়েছিলেন, 'আগামী পরশু সোনালি খাতুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছি। তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা ছিল। যোগাযোগ ছিলাম আমরা।'
তবে, বৃহস্পতিবার জানা গেল, বদল হয়েছে সিদ্ধান্তের। সূত্রের খবর, সোনালির শারীরিক পরিস্থিতি বিচারেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা সোনালির এই সময়ে এতটা পথ যাতায়াত উচিৎ নয়। তাই তাঁকে এতটা রাস্তা যাতায়াত না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। সকল চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সোনালির সন্তান জন্মের পর দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
সোনালি খাতুনকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে। কাজের সন্ধানে দিল্লিতে গিয়েছিলেন বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা সোনালি বিবি ও সুইটি বিবির পরিবার ৷ অভিযোগ, তাঁদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও গত ১৭ জুন তাঁদের গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ ৷ শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হয়৷ সেই সন্দেহের বশে ২৬ জুন অসমের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ‘পুশব্যাক’ করে ছ'জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয় ৷ সেই সময় সোনালি বিবি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তাঁরা দীর্ঘদিন বাংলাদেশে জেলে ছিলেন। কারণ, বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের পুলিশ তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আটক করে ও মামলা রুজু করে। এই অবস্থায় একশো দিনেরও বেশি সময় তাঁরা স্থানীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন ৷
পরবর্তী সময়ে বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সোনালির পরিবারের তরফে দাবি করা হয় সোনালি ভারতীয়। আদালত সব কিছু শোনার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় সোনালিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে সোনালিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয় ডিসেম্বরের শুরুতে।
৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার সন্ধেয় মালদা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মহদীপুর বর্ডার দিয়ে এদেশে ফিরলেন অন্তঃস্বত্তা সোনালী এবং তাঁর ৮ বছরের নাবালক সন্তান। তাঁর ফেরার মুহূর্তে জেলা শাসক থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা, সকলেই ছিলেন সীমান্তে।