• মহাত্মার নামেই কর্মশ্রীর নামকরণ করবেন মমতা?
    আজকাল | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একশ দিনের কাজ। এতদিন নাম ছিল মহাত্মা গান্ধী ন্যাশন্যাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট। এক কথায় এমজিএনরেগা। সেই নাম বদলাচ্ছে, আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগেই। জানা গিয়েছিল, একশ দিনের কাজের সম্পূর্ণ নাম থেকে মহাত্মা গান্ধী নাম সরিয়ে নাকি ব্যবহার করা হবে 'পূজ্য বাপু' শব্দদ্বয়কে। কিন্তু সোমবার জানা যায়, পুরনো নাম বদলে, তা থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দিয়ে  ভিব-জি রাম জি বিল ২০২৫ (VB-G RAM G Bill 2025) করতে চলেছে কেন্দ্র।

    সেদিন থেকেই একপ্রকার শুরু হয়ে যায় শাসক-বিরোধী তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কংগ্রেস শিবির, সুর ছড়ায় বিরোধী পক্ষ। বিতর্ক, বিরোধীদের প্রতিবাদের মাঝেই, বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয় বিল। লোকসভায় বিলটি পাশ হয়  ধ্বনিভোটে। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারেই এই ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন মমতা। সাফ জানান, প্রকল্পের নাম থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলা 'লজ্জার'।  তিনি বলেন, 'আমি লজ্জিত। আমরা জাতির জনকের নামই ভুলে যাচ্ছি। '

    তারপরেই বড় ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বলেন, রাজ্যের কর্মশ্রী প্রকল্পের নাম বদলে, মহাত্মা গান্ধীর নামে করা হবে প্রকল্পের নাম।  তিনি বলেন, 'আপনারা যদি মহাত্মাজীকে সম্মান দিতে না পারেন। আমরা দেব। আমরা জানি নেতাজী, মহাত্মাজী, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বাবা সাহেব আম্বেদকর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, বল্লভ পাই প্যাটেল, লাল-বাল-পাল, রাজেন্দ্রপ্রসাদকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয়। 

    উল্লেখ্য, প্রকল্পের নাম বদলে ফেলা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, এমজিএনআরইজিএ থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দেওয়ার জন্যই ওই প্রকল্পের নাম বদলে দিতে মরিয়া মোদি সরকার।  সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, "মহাত্মা গান্ধীর শেষ কথা ছিল 'হে রাম' - তাহলে এমএনআরইজিএ আইন থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে? ভগবান রামের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর বিশ্বাস নিয়ে কি কখনও কোনও সন্দেহ ছিল?"

    মঙ্গলবার লোকসভায় এই ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, মনরেগা প্রকল্পে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করা হত। চাহিদার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রের ফান্ডিং আসতো। কিন্তু নতুন বিলে সেই সংস্থান নেই। এক্ষেত্রে কেন্দ্র আগে থেকে ফান্ড বরাদ্দ করে দেবে। প্রিয়াঙ্কার দাবি, পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের ক্ষমতা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করেছিল মনরেগা। কারণ গ্রাম সভা স্থির করত, তাদের গ্রামে কোন কাজ হবে। তার উপর ভিত্তি করে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, নতুন বিল কার্যকর হলে গ্রাম সভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা খর্ব হবে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)