• মুসলিম তরুণীকে বিয়ে নিয়ে বিবাদে মা-বাবাকে ‘খুন’! দেহ টুকরো করে নদীতে ফেলল ‘গুণধর’ ছেলে!
    প্রতিদিন | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) জৌনপুরে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছেলের হাতে খুন হতে হল মা-বাবাকে! এমনকী অভিযোগ, খুনের পর প্রৌঢ় যুগলের দেহ করাত দিয়ে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ‘গুণধর’ সন্তান। বেশ কিছু দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ৬২ বছরের শ্যাম বাহাদুর এবং ৬০ বছরের ববিতা। নিরুদ্দেশ রহস্য সামধান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সামনে এসেছে।

    অভিযুক্ত যুবকের নাম আমবেশ। বছর পাঁচেক আগে এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। যা মানতে পারেননি শ্যাম ও ববিতা। তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে দেননি পুত্রবধূকে। এর জেরে ভাড়া বাড়িতে সংসার পাতেন আমবেশ। সেখানেই তাঁর দুই সন্তান হয়। গত পাঁচ বছরে একাধিক বার বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন যুবক। যদিও শ্যাম ও ববিতা জানিয়ে দেন, একমাত্র বিবাহবিচ্ছেদ করলে বাড়িতে ঢুকতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত আমবেশ এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য স্ত্রীকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দিতে হত আমবেশকে। বাবা শ্যাম বাহাদুরের কাছে সেই টাকা চান যুবক। তিনি তা দিতে অস্বীকার করতেই চরম অশান্তি বাধে।

    অভিযোগ, এক সময় মেজাজ হারিয়ে পাথরের ভারী নোড়া দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেন আমবেশ। রক্তাক্ত ববিতা যন্ত্রণায় ছটফট করছে দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীর সাহায্য চান শ্যাম। তা দেখে বাবাকে আক্রমণ করেন আমবেশ। নোড়া দিয়ে বারবার বাবার মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রৌঢ় যুগলের। এরপর খুনের প্রমাণ লোপাট করতে মা-বাবার দেহ করাত দিয়ে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন তিনি।

    বোন বন্দনাকে ফোন করে জানান, ঝগড়ার পর মা-বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ছ’দিন নিজেও উধাও হয়ে যান। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই বোন, আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আমেবশ। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ডাকে বাড়ির লোকেরা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন যুবক। মা-বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)