• SSC মামলায় বাড়ল নিয়োগের সময়সীমা, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন ‘যোগ্য’রা
    প্রতিদিন | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের। স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার ও এসএসসিও। আগামী বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেতন-সহ চাকরি করতে পারবেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। পাশাপাশি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের সময়সীমাও বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ ডিসেম্বর বদলে, ২০২৬ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে নিয়োগ শেষ করার নির্দেশ আদালতের। অর্থাৎ ৮ মাস সময়সীমা বাড়ল।

    ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই মোতাবেক কাজ শুরু করে এসএসসি। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। শুরু হয়েছে নবম-দশমের নথি যাচাইয়ের কাজ। তারপর শুরু হবে ইন্টারভিউ। এদিকে একাদশ-দ্বাদশের মেধা তালিকা প্রকাশ হতে পারে জানুয়ারি মাসে।

    কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। জানুয়ারি থেকে তাঁরা স্কুলে না আসলে, সরকারি বিভিন্ন স্কুলে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া কার্যত ভেঙে পড়বে। এই আশঙ্কা করে তাঁদের চাকরির মেয়াদ ও নিয়োগ শেষ করার জন্য আরও আটমাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে শিক্ষাদপ্তর। সেই শুনানিতেই আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন মেনে নিয়ে ৮ মাস সময়সীমা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা বেতন-সহ কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত।

    সময়সীমা বাড়ানো দাবিতে শিক্ষাদপ্তরের যুক্তি ছিল, ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। মাধ্যমিক শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারও। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যদি ১৩ হাজার শিক্ষক স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেন, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সঙ্গে স্কুলের পরীক্ষা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা-সহ একাধিক বিষয়ও রয়েছে। এদিকে এসএসসি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি হলে একাদশ-দ্বাদশের সুপারিশপত্র তারা ১৬ জানুয়ারি থেকে পাঠাতে পারবে। নবম-দশমের ক্ষেত্রে সেই তারিখটা মার্চের শেষ নাগাদ। সব দিক বিবেচনা করে ৮ মাসের অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    এই রায়ের পর চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “৩১ তারিখের পর আমাদের ভবিষ্যৎ কী হত তা জানতাম না। এই রায় সাময়িক স্বস্তি বটে। তবে চাকরিহারা যোগ্যরা সবাই এখনও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডাক পায়নি।” মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “চাকরিহারাদের মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করা হয়নি। কিন্তু এই সময়সীমা বাড়লে নিয়োগ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাবে। আদালতে তা জানানো হয়েছিল। আদালত এই রায় দিয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)