• অবসর নেওয়ার আগে স্লগ ওভারে ছক্কা হাঁকানোর মতো একের পর এক রায়!! বিচারকদের প্রবণতায় অসন্তোষ সুপ্রিম কোর্টের
    বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: অবসরের ঠিক আগেই বিচারকরা একের পর এক মামলার রায় দিচ্ছেন। এই প্রবণতায় রাশ টানতে হবে। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। বিষয়টিতে ক্রিকেটের স্লগ ওভারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গেও তুলনা করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। 

    মধ্যপ্রদেশের এক জেলা আদালতের বিচারকের আবেদনের শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। অবসরের মাত্র ১০ দিন আগে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দু’টি রায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফুল কোর্ট বৈঠকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। ৩০ নভেম্বর ওই বিচারকের অবসর নেওয়ার কথা ছিল। ১৯ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বিচারক। 

    প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চালির বেঞ্চ শুনানিতে বলে, ‘অবসরের ঠিক আগেই আবেদনকারী ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছিলেন। এই প্রবণতা অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক। এ নিয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।’ ওই বিচারকের কর্মক্ষেত্রে ভালো রেকর্ড রয়েছে। বার্ষিক রিপোর্টেও তিনি ধারাবাহিকভাবে ভালো রেটিং পেয়েছেন। এমনই যুক্তি দিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলের বিচারকের আইনজীবী। তিনি বলেন,বিচারক যে নির্দেশগুলি দিয়েছেন, সেগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সংস্থান রয়েছে। তাহলে কীভাবে ওই বিচারককে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে?  যদিও সুপ্রিম কোর্ট  স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিচারের ত্রুটি ও অসদাচরণ এক বিষয় নয়। 

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬১ হয়েছে। ফলে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে ওই বিচারকের অবসর। আবেদনকারী বিষয়টি জানতেন না বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘আবেদনকারী ওই দুটি নির্দেশ দেওয়ার সময় অবগত ছিলেন না, যে তার অবসরের বয়স বাড়ানো হয়েছে। কর্মজীবনের শেষ দিকে এইভাবে পরপর নির্দেশ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’ শেষপর্যন্ত ওই বিচারককে ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাঁকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)