দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সাজ সাজ রব গোয়ায়
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়: পানাজি থেকে মারগাও বা ভাস্কো দা গামা— প্রতিটি শহরের আনাচে কানাচে, রাস্তায় ঝুলছে তেরঙা। রঙিন আলো আর পোস্টারে সেজে উঠেছে দোকানগুলি। মানুষজন মেতে উঠেছে উৎসবে। যেন স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু এখন তো ১৫ আগস্ট নয়! তাহলে এত তৎপরতা কেন? স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতেই জানা গেল বিষয়টি। আসলে গোয়া দু’টি স্বাধীনতা দিবস পালন করে। ১৫ আগস্ট জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ১৯ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালের পর্তুগিজ শাসন থেকে মুক্তির গৌরব হিসেবে।
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু গোয়া তখনও পর্তুগিজ শাসনের অধীনে। প্রায় চারশো বছর ধরে পর্তুগিজরা গোয়াকে নিজেদের শাসনকেন্দ্র হিসেবেই রেখেছিল। এই দীর্ঘ শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গোয়াবাসীর মধ্যে ছড়িয়েছিল মুক্তির আগুন। রামমনোহর লোহিয়া থেকে বহু মানুষ অসহযোগ আন্দোলন এবং সামরিক লড়াইয়ে অংশ নেন। ১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সামরিক দক্ষতার সুবাদে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা পায় গোয়া। ‘অপারেশন বিজয়’ অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌ ও বায়ুসেনা মিলে পর্তুগিজ শাসন থেকে গোয়াকে মুক্ত করে। এই দিন গোয়া প্রকৃত অর্থেই ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। সেই বিশেষ দিনটিকে উৎযাপন করতে শুক্রবার আলোর উৎসবে সেজে উঠছে গোয়া। সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় হবে পতাকা উত্তোলন, শহিদদের স্মরণে ফুল অর্পণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্কুল-কলেজে ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, মুক্তির গান গেয়ে পুরো শহরকে এক অসাধারণ সাহস আর গর্বে ভরিয়ে তুলবে। সরকারি অফিস থেকে শুরু করে ছোটো দোকান পর্যন্ত সবাই মিলেমিশে এই দিন উদযাপন করে।