• টার্গেট ভারত, বাংলাদেশি জঙ্গিদের কাজে লাগাতে সচেষ্ট চীন
    বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অস্থির বাংলাদেশ। আর সেই সুযোগে সক্রিয়তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে চীনের। জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও হামলার জন্য শিলিগুড়ি করিডর এবং বঙ্গোপসাগর রুটকে টার্গেট করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লালমনির হাট এয়ারবেসে সক্রিয়তা এবং মংলা বন্দরের সম্প্রসারণে চীন বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। পেকুয়াতে সাবমেরিন বেস তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই কারণে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির সঙ্গে আরও আলোচনা বাড়াতে হবে কেন্দ্রকে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি।

    বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্যা-সম্ভাবনার বিষয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিই সম্যকভাবে অবহিত। তাই নিয়ম করে সেই সমস্ত রাজ্যের মতামত নিয়ে অগ্রসর হতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুমুল উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে ভারত বিরোধী চক্রান্ত। সঙ্গে চলছে লাগাতার ভারতবিরোধী প্রচার। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোটা বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশে স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য ভারত সরকারকে তৎপর হওয়ার বার্তাও দিয়েছে কমিটি। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধী চক্রান্ত, হুমকি, হুঁশিয়ারি চলছেই। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়গুলিকে অনেক হালকাভাবে দেখাচ্ছে। যা প্রশ্রয়ের নামান্তর।

    এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত বরাবর প্রহরা বহুগুণ বাড়ানো প্রয়োজন। তার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংযোগ আরও বাড়াতে হবে। উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যকে বাংলাদেশের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী নিশানা করছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের প্ররোচনা থাকতে পারে বলে দাবি। এক্ষেত্রে কারও নাম না বলা হলেও ইঙ্গিত চীনের দিকেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)