এপস্টাইন ফাইলের জের, শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী বদল হচ্ছে দেশে! এবার দাবি রাউতের
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই সামনে এসেছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চ্যবনের বিস্ফোরক দাবি। তিনি বলেছিলেন, ১৯ ডিসেম্বরের পর দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে তথা রাজনীতির পরিমন্ডলে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পরিবর্তন আসছে। একজন মারাঠা ব্যক্তিত্ব হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী। এই অবিশ্বাস্য পূর্বাভাসকে রাজনৈতিক মহল সেভাবে গুরুত্বই দেয়নি। পৃথ্বীরাজ কিন্তু নিজের অভিমতে অনড়। তারপরও বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ সূত্র থেকে জানতে পারছি বিজেপির অন্দরে বড়সড় ঝড় আসছে। প্রধানমন্ত্রী বদল হয়ে যাবে।’ ওই দাবি স্তিমিত হওয়ার আগেই এবার মহারাষ্ট্রেরই শিবসেনা (উদ্ধব) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, বিজেপি এবং আরএসএসের অন্দরে আলোড়ন চলছে কিছুটা একটা নিয়ে। খুব শীঘ্রই প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এক বিস্ফোরণ হবে। রাউত বলেছেন, ১৯ ডিসেম্বরের পর হবে রাজনৈতিক ভূমিকম্প। দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে বড়সড় অস্থিরতা আসতে চলেছে।
এরকম বিস্ময়কর দাবির ভিত্তি কী? রাউত বলেছেন, এপিসেন্টার হবে আমেরিকা থেকে প্রকাশিতব্য এপস্টাইন ফাইল। রাউতের দাবি, শুক্রবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হচ্ছে। অথচ বিজেপির প্রথম সারির মন্ত্রী নেতা ও এমপিদের নাকি সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে কেউ যেন এখন দিল্লি থেকে চলে না যান। সকলকে দিল্লিতে থাকতে হবে। প্রসঙ্গত এর আগে পৃথ্বীরাজ বলেছিলেন, শীঘ্রই ভারত সরকারের নতুন এক প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার আমেরিকার বিচারবিভাগীয় দপ্তর থেকে বিতর্কিত ও বহু চর্চিত জেফ্রি এপস্টাইন ফাইল প্রকাশ করার কথা। মার্কিন কংগ্রেস এপস্টাইন ট্র্যান্সপারেন্সি আইন অনুমোদিত করেছে সম্প্রতি। যেখানে বলা হয়েছে এপস্টাইন ফাইলের তাবৎ অপ্রকাশিত অংশ প্রকাশ করে দিতে হবে ১৯ ডিসেম্বর। একমাত্র ব্যতিক্রমী তদন্তাধীন মামলাগুলি। যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে, এপস্টাইন ফাইল যদি জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট প্রকাশ না করে তাহলে তার পরিণতি কী হবে। ২০২৪ সালের ভোটের প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় হলে এপস্টাইন ফাইলের গোপন তথ্যাবলী প্রকাশ করে দেবেন। কিন্তু তারপরই জানা যায় খোদ ট্রাম্পের নামও রয়েছে এপস্টাইন ফাইলে। আর তারপর থেকেই জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট সেই ফাইল প্রকাশ করতে গড়িমসি করছে। এরপর মার্কিন কংগ্রেস আইন পাশ হয়েছে। যা এখন প্রকাশ হতে বাধ্য। এপস্টাইন ফাইলে শুধুই মার্কিন অথবা পশ্চিমী নয়, ভারতের উচ্চপদস্থদের নামও নাকি জড়িত আছে। সম্প্রতি বলা হয়েছে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ১১টি ইমেল গিয়েছিল আমন্ত্রণ হিসেবে। কংগ্রেস তৎক্ষণাৎ বিজেপিকে চেপে ধরে। কংগ্রেসের দাবি, এক মন্ত্রীই শুধু নয়, এপস্টাইন ফাইলে রয়েছে ভারত সরকারের পদাধিকারীদের নাম। এই এপস্টাইন ফাইলকে সঞ্জয় রাউত কিংবা পৃথ্বীরাজ চৌহানরা বিতর্কের ভরকেন্দ্র ধরলেও বিজেপি বলেছে, বিরোধীরা দিবাস্বপ্ন দেখছে। ভোটে জয়ী হতে না পেরে এখন আজগুবি অভিযোগ এনে বিভ্রান্ত করছে মানুষকে।