• তপশিলি জাতি-উপজাতিদের উপর নিগ্রহ মামলায় শীর্ষে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিই, সংসদে ডেরেকের প্রশ্নে জানালেন মন্ত্রী
    বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সিনিয়র সিটিজেনদের উপর হামলার ঘটনা কলকাতায় অনেক কম। সংসদে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে (এটিই সাম্প্রতিক) দেশের অন্যান্য পরিচিত শহরগুলোর চেয়ে অনেকটাই কম কলকাতায়। সেখানে এ ধরনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ৬টি। সেই তুলনায় আমেদাবাদে এই সংখ্যা ১৮৪, বেঙ্গালুরুতে ৬৪৯ এবং দিল্লি শহরে ১ হাজার ৩৬১। মুম্বইতে ৫১৮। সুরাতে ১৪। দেশের ১৯ টি শহরে ২০২৩ সালে প্রবীণ নাগরিকদের উপর মোট ৪ হাজার ৪১২ টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

    অন্যদিকে, নাদিমুল হকের এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদে সরকার লিখিতভাবে জানিয়েছে, তপশিলি জাতি এবং উপজাতির উপর অত্যাচারের ঘটনা বাংলায় কমেছে। মোদি রাজ্য গুজরাতে অত্যাচারের ঘটনা ২০২৩ সালে নথিভূক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টি। বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় ১ হাজার ৩৫৯। উত্তরপ্রদেশে ১৫ হাজার ১৩৬।  মধ্যপ্রদেশে ১১ হাজার ৯০। রাজস্থানে ১০ হাজার ৯০২। সেই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা ১৯২। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতেই এধরনের মামলা বেশি। 

    এদিকে, মালা রায়ের এক প্রশ্নের উত্তরে সরকার সংসদে জানাতেই পারল না গোটা দেশে কত গাড়িতে বেআইনি সিএনজি কিট লাগানো হয়েছে। সড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ কোন রাজ্যে চলতি বছরে কোথায় 

    কত গাড়িতে সরকার অনুমোদিত সিএনজি কিট লাগানো হয়েছে। পরিবেশ দূষণ এড়ানোর লক্ষ্যে গাড়িতে সিএনজি কিট লাগানো হয়। চলতি বছরে গুজরাতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাড়িতে তা লাগানো হয়েছে। ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮১৫। দিল্লিতে ২৭ হাজার ২৯৩। পশ্চিমবঙ্গে ৭৯৮। কিন্তু কত গাড়িতে বেআইনিভাবে তা লাগানো হয়েছে, তার হিসেব সরকারের কাছে 

    নেই। তৃণমূলের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)র এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী তোকেন শাহু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) বহু বাড়ি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ১ লক্ষ ১৩ লক্ষ বাড়ি তৈরি হলেও গ্রাহক পেয়েছেন ৯৩ লক্ষ।
  • Link to this news (বর্তমান)