নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেআইনি কল সেন্টারের খবর পুলিশকে দিয়েছিলেন আলিপুরের বাসিন্দা মাসুদ আলম। তার ভিত্তিতে শুভম কবি সহ আরও কয়েকজন ধরা পড়ে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই টিপার মাসুদের মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শুভম ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। সংকটজনক অবস্থায় মাসুদ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১১ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর এলাকায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুভমকে গ্রেফতার করেছে আলিপুর থানা। বাকিরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কসবা, আলিপুর সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি কলসেন্টার চালাচ্ছিল শুভম ও তার গ্যাং। সেখানে বসেই দেশ-বিদেশের নাগরিকদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। লক্ষ লক্ষ টাকা এই বেআইনি কল সেন্টার থেকে উঠছিল বলে অভিযোগ। এই খবর পৌঁছয় মাসুদের কাছে। তিনি বেআইনি কল সেন্টারের খবর পুলিশকে দেন। তাঁর খবরের সূত্র যে সঠিক, তা যাচাই করে জানতে পারেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তারপর সেখানে হানা দিয়ে শুভম সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ল্যাপটপ, মোবাইল সহ বিভিন্ন সামগ্রী। নগদও উদ্ধার হয়। চলতি ডিসেম্বরেই তারা জামিন পায়। অভিযুক্তরা জানতে পারে, পুলিশকে এই খবর দিয়েছে মাসুদ। তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। সেইমতো ১১ ডিসেম্বর তাঁর উপর চড়াও হয় শুভম সহ কয়েকজন। সকলের হাতে ছিল লোহার রড, লাঠি। একা পেয়ে তারা মাসুদকে লোহার রড দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে গেলে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। এরপর পালিয়ে যায় শুভম সহ বাকিরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মাসুদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজনও আসেন। মাসুদ পুলিশকে জানান, শুভমের নেতৃত্বে মারধর করা হয়েছে। আলিপুর থানা খুনের চেষ্টার কেস রুজু করে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শুভমকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী বিকাশ দাস বলেন, শুভম যে এই ঘটনায় জড়িত, তার প্রমাণ রয়েছে। মাসুদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সওয়াল শেষে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠান।