• টব চুরির মামলা: মেসিপ্রেমীদের খুঁজছে পুলিশ, হবে হাজতবাস
    এই সময় | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলের টব চুরির অপরাধেও এ বার জেল যাত্রা হবে মেসিপ্রেমীদের!

    গত শনিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসিকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক। কিন্তু বিশ্বখ্যাত ফুটবলারকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ চরমে ওঠে দর্শকদের একাংশের মধ্যে। উত্তেজিত ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়ামের চেয়ার ভাঙচুর, সোফা সেটে আগুন দিয়েই থেমে থাকেননি। ফুলের টব, কার্পেট, গোল পোস্টের নেট–সহ একাধিক জিনিস নিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই সামাজিক মাধ্যমে ভাঙচুর এবং সরকারি জিনিস নিয়ে চলে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতেই দেখা যায়, কেউ বাইকে চাপিয়ে ফুলের টব নিয়ে যাচ্ছেন তো কেউ আবার চেয়ারের ভাঙা টুকরো নিয়ে ট্রেনে উঠছেন। স্টেডিয়ামের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে পুলিশ এদের মধ্যে একাধিক দর্শককে চিহ্নিত করে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এ বার ৩০৩(চুরি) এবং ৩০৯(লুট)এই দুটি ধারাও যুক্ত করার আর্জি জানাচ্ছে বিধাননগর পুলিশ।

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলের টব, কার্পেট, গোল পোস্টের নেট চুরি করেছেন, এমন ১১ জনকে মাঠে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধাননগর দক্ষিণ থানার অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনার পাশাপাশি স্টেডিয়ামের একাধিক জিনিস চুরির বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন বেশ কয়েকজন অফিসার। তাঁরা জানান, মাঠে মেসিকে দেখতে না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ সংযত। কিন্তু, সেই রাগ মেটানোর জন্য সরকারি সম্পত্তি লুট করা বেআইনি। এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে এই প্রবণতা আরও বাড়বে।

    এরপরেই নতুন ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন বিধাননগর কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা। এক্ষেত্রে দক্ষিণ থানাকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগকে। প্রয়োজনে কলকাতা, ব্যারাকপুর, হাওড়া–সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুলিশের সাহায্য নিতেও নির্দেশ দেন পুলিশ কর্তারা। সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুটি মামলা রুজু করেছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এর মধ্যে একটি ছিল ভাঙচুরের। যেখানে মূলত সরকারি কাজে বাধাদান, ওয়েস্ট বেঙ্গল এমপিও অ্যাক্টের ৯ ধারা(জন-নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, নাশকতা) এবং পিডিপিপি অ্যাক্টের ৩ ধারা(জনসম্পত্তির ক্ষতিসাধন) মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। বিধানননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন,‘ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না।’

  • Link to this news (এই সময়)