• 'বিনাযুদ্ধে ভারত দখলের চক্রান্ত চলছে', বাংলাদেশ ইস্যুতে দাবি BJP-র
    আজ তক | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সাধারণ নির্বাচনের আগেই উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতভর সে দেশের একাধিক জায়গায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঢাকার কারওয়ান বাজারে দুই প্রথম সারির সংবাদপত্র-প্রথম আলো ও দ্য ডেলি স্টার-এর দফতরে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ধানমন্ডিতে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সন্‌জীদা খাতুন প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর সাততলা ভবনের প্রতিটি কক্ষে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে বুলডোজ়ার চালিয়ে ভেঙে ফেলার ঘটনাও সামনে এসেছে।

    এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য তীব্র মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমরা আশির দশক থেকেই বলে আসছি, বিনা যুদ্ধে ভারত দখলের চক্রান্ত চলছে। মৌলবাদ ও চরমপন্থা মানবসভ্যতার জন্য ক্যান্সারের মতো। এই ক্ষত থেকে মুক্তি পেতেই হবে। বাংলাদেশে শুধু মুক্তমনা মানুষ নয়, যাঁরা ধর্মীয় আগ্রাসনে বিশ্বাস করেন না, কাউকে ‘কাফের’ বলে ডাকেন না,  তাঁরাও আজ আক্রান্ত। এই ধর্মীয় বিভাজন আরও বাড়বে। ইউরোপেও তা বাড়ছে, কানাডার দিকেই তাকান। এই ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে ভারতবাসী রুখে দাঁড়াবে।”

    এদিন বিজেপির তরফে আরও জানানো হয়, শনিবার রানাঘাটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলীয় সূত্রে খবর, ২০ ডিসেম্বর শনিবার সকালে দিল্লি থেকে বায়ুসেনার বিমানে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে পৌঁছবেন রানাঘাটের হেলিপ্যাডে।

    হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে তিনি সভাস্থলে যাবেন। সকাল ১১টা ১৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপর সড়কপথে জনসভাস্থলে পৌঁছবেন তিনি। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে সেখানে পৌঁছে দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদী।

    সভা শেষে নির্ধারিত হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বায়ুসেনার বিমানে তিনি রওনা দেবেন অসমের গুয়াহাটির উদ্দেশে।

     
  • Link to this news (আজ তক)