বাড়ি বাড়ি SIR হিয়ারিংয়ের নোটিশ শুরু আজ, শুনানিতে যেতে না পারলে কী হবে?
আজ তক | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে SIR খসড়া ভোটার তালিকা। বাংলার ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম বাজ পড়েছে এই তালিকা থেকে। তবে ভোটারদের অভিযোগ, অনেক জীবিত ভোটারের নাম মৃতের তালিকায় এসেছে। আবার অনেকের খসড়া লিস্টে নাম থাকলেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি। সব মিলিয়ে সমস্যার সমাধান এবার চলবে SIR-এর দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ শুনানি বা হিয়ারিং পর্ব। ভোটারদের নোটিশ পাঠানোর কথা ছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। কিন্তু বিশেষ কারণে তা হয়নি। এবার কী করণীয়?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই ভোটারদের নোটিস পাঠানো শুরু হয়ে যাবে। অনেকেই শুক্রবার হিয়ারিং নোটিশ হাতে পাবেন। কমিশন সূত্রে খবর, শুনানির নোটিস তৈরি আছে। কিন্তু তা ইংরেজিতে। ইংরেজি নোটিশে সমস্যা হতে পারে একথা ভেবেই আঞ্চলিক ভাষায় নোটিশ অনুবাদ করা হচ্ছে। ২২ বা ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নোটিশ পাঠানোর কাজ। এরপর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে হিয়ারিং পর্ব।
কারা ডাক পাবেন হিয়ারিংয়ে?
যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজের কোনও যোগ দেখাতে পারেননি, তাঁরা ‘নো ম্যাপিং’ তালিকাভুক্ত। এঁদের প্রত্যেককেই শুনানির জন্য ডাকবে কমিশন। এই সংখ্যাটা প্রায় ৩০ লক্ষ। এছাড়াও ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ভোটারকে কমিশন সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এঁদের লিঙ্গ, বয়স, নামে গরমিল রয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে প্রথমে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকাভুক্তদের ডাকা শুরু করবে কমিশন।
কবে যেতে হবে শুনানিতে?
যে সমন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে পাঠাবে কমিশন, সেই সমনেই সম্ভবত লেখা থাকবে সেই ভোটারকে কবে, কোথায় যেতে হবে হিয়াংয়ের জন্য। এই নোটিশ নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবেন BLO-রা। এছাড়াও রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে মেসেজ করেও সমনের সময় জানাতে পারে কমিশন।
হিয়ারিং কোথায় হবে?
শুনানি নিয়ে জেলাগুলিকে ৬ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পক্ষ থেকে। এনুমারেশন ফর্মের মতোই নোটিশও হবে ২টি। একটি ভোটারের কাছে থাকবে। অপরটি ভোটারকে দিয়ে সই করিয়ে BLO নিজের কাছে রাখবেন। নোটিশ পাওয়ার পর শুনানিতে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও অফিসে এই শুনানি হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০ জনকে নিয়ে শুনানি পর্ব চলবে। উপস্থিত থাকবেন ARO, AERO।
হিয়ারিংয়ে না যেতে পারলে কী হবে?
যাঁর নামে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে সেই ভোটার হিয়ারিংয়ে যেতে না পারলে দিনক্ষণ বদলানো হতে পারে। তবে সঙ্গত কারণ দেখাতে হবে।