'গুজরাতের কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে', এই মন্তব্য করে ভারতকে প্রকাশ্য হুমকি দিলেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ছাত্রনেতা আলি আহসান জোনায়েদ। তাঁর আরও দাবি, প্রয়োজনে '৩০ কোটি বাংলাদেশিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যেতে পারি।'
বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর সমর্থকরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন হাদি। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরনো পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ইউনূস সরকারের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের এক কর্মী হাদির ওপর গুলি চালায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সরকারি উদ্যোগে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই আবহেই 'গুজরাতের কসাই' শব্দবন্ধ ব্যবহার করে ভারতকে নিশানা করেন হাদির ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা আলি আহসান জোনায়েদ। তিনি অভিযোগ করেন, 'গুজরাতের কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে,' ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে।
জোনায়েদের দাবি, হাদির মাথায় গুলি চালানোর পিছনে ভারতীয় মদতের ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের ভদ্রতার জবাবে যদি আমার সহযোদ্ধাদের গুলি করা হয়, তাহলে সেই সন্ত্রাসীদের মাটিতে পিষে ফেলতে হবে। ভারত আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করছে। ভারত থেকেই পরিকল্পনা করে আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।'
এখানেই থামেননি তিনি। আরও উস্কানিমূলক ভাষায় জোনায়েদ বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত শহিদ শরিফ ওসমান হাদির ভাই ও বন্ধুরা বাংলাদেশে বেঁচে থাকবে, ততক্ষণ ভারত শান্তিতে থাকতে পারবে না। আমরা ভয় পাই না। প্রয়োজনে ৩০ কোটি বাংলাদেশিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশের কসাইকে ভারত থেকে ছিনিয়ে আনতে পারি।'