'মেটিয়াবুরুজ টু রাজাবাজার', ৫ মাসে বিপুল জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট দিয়েছে পুরসভা
আজ তক | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর, ঠিক সেই সময় কলকাতা পুরসভার জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির অভিযোগ ছিল, কলকাতা পুরসভা লাগামছাড়া হারে জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র দিচ্ছে। তবে এতদিন সেই অভিযোগের নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে আনতে নারাজ ছিল পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।
অবশেষে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যু হওয়া জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্রের বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন।
রিপোর্ট সামনে আসতেই দেখা যায়, যে এলাকাগুলি নিয়ে গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তুলছিল, সেই অঞ্চলগুলির অন্তর্গত বোরোগুলিতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে। গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, মেটিয়াবুরুজ, তপসিয়া ও তিলজলার মতো এলাকাগুলির নাম উঠে এসেছে রিপোর্টে। বিজেপির দাবি, এই তথ্যই তাদের অভিযোগকে কার্যত সত্য প্রমাণ করছে।
পুরসভার রিপোর্ট অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি হল
৭ নম্বর বোরো
এই বোরোর অধীনে তিলজলা, তপসিয়া, পার্ক সার্কাস-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। এখানে জন্ম শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে ১,৩০১টি এবং মৃত্যু শংসাপত্র ২৩১টি।
১২ নম্বর বোরো
ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দু’ধার ও যাদবপুরের বিস্তীর্ণ অংশ এই বোরোর অন্তর্গত। বিজেপির অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য এসে ভাড়াবাড়িতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের বসবাস এই এলাকায় রয়েছে। এই বোরো থেকে জন্ম শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে ৯৮৩টি এবং মৃত্যু শংসাপত্র ৫৭৯টি।
১৫ নম্বর বোরো
গার্ডেনরিচ ও মেটিয়াবুরুজ এলাকা এই বোরোর অন্তর্ভুক্ত। এখানে জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে ৫১৬টি এবং মৃত্যু শংসাপত্র ২৮৪টি।
৩ নম্বর বোরো
নারকেলডাঙা ও রাজাবাজারের একাংশ এই বোরোর অন্তর্গত। এখানে জন্ম শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে ৯৪৬টি, মৃত্যু শংসাপত্র ৩১৪টি।
কলকাতা পুরসভার সদর দফতর
এখান থেকে জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে ১,৩২৬টি এবং মৃত্যু শংসাপত্র ৭০১টি।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির দাবি, ভোটার তালিকায় নাম তোলার উদ্দেশ্যেই এই ধরনের জন্ম শংসাপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।