হিন্দু ব্যক্তিকে খ্রিস্টান মতে কবর দেওয়ার অভিযোগ, উত্তপ্ত ছত্তিশগড়ের আমাবেদা
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
রায়পুর: হিন্দু ব্যক্তিকে খ্রিস্টান মতে কবর দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার আমাবেদা গ্রাম। পোড়ানো হল দু’টি গির্জা। আক্রান্ত একাধিক খ্রিস্টান পরিবার। কবর খুঁড়ে বের করে আনা হল মৃতদেহও। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত বহু। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী।
জানা যাচ্ছে, বাড়ে তেওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজমান সালামের বাবা চামারামের মৃত্যু হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। তাঁকে একটি ব্যক্তিগত জমিতে কবর দেয় পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজমান সালাম ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টান হয়েছেন। কিন্তু তাঁর বাবা তা করেননি। পরিবার গোপনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। এবং তাতে আদিবাসীদের পরম্পরা রক্ষিত হয়নি। ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তপ্ত ছিল গোটা এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় গ্রামবাসীদের মধ্যে। তাঁদের নিরস্ত করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় এক অ্যাডিশনাল এসপি সহ ২০ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পালটা পুলিশের লাঠিচার্জে গ্রামবাসীদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টির মধ্যস্থতায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। স্থানীয়রা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গ্রামে কিছুতেই ওই ব্যক্তিকে কবর দেওয়া যাবে না। এরপরেই কবর খুঁড়ে দেহটি গ্রামের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ছত্তিশগড় খ্রিস্টান খোরামের দাবি, ওই পঞ্চায়েত প্রধান ধর্ম পরিবর্তন করেননি। আদিবাসী নিয়ম মেনেই নিজের জমিতে বাবাকে সমাহিত করেছেন।