• তৃতীয়বারও দ্বিতীয় স্থানের শিরোপা ধরে রাখতে সেজে উঠছে রসিকবিল
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: এর আগে পর পর দু’বছর রাজ্যের চিড়িয়াখানার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল কোচবিহারের রসিকবিল। ১ জানুয়ারিতে পর্যটকের উপস্থিতির নিরিখে এই শিরোপা জুটেছিল রসিকবিল মিনি জু’র। এবার  হ্যাটট্রিকের আশায় রয়েছে কোচবিহার বনদপ্তর। তৃতীয়বারও যাতে এই দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখা যায় সেই আশায় এখন থেকেই সেজে উঠতে শুরু করেছে রসিকবিল। 

    সামনেই ২৫ ডিসেম্বর। তারপর ১ জানুয়ারি। ইতিমধ্যেই প্রচুর বন্যপ্রাণী আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে শীতের মরশুমে এসেছে পরিযায়ী পাখিও। কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি ১৭ হাজার পর্যটক এসেছিলেন। চার লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ২০২৪ সালেও ১ জানুয়ারিতে পর্যটক আসার নিরিখে আমরা দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম। প্রথম স্থানে ছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। আমরা আশাবাদী, এবারও প্রচুর পর্যটক বছরের প্রথম দিন রসিকবিলে আসবেন। আমরা তারজন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। 

    গত কয়েক বছর ধরেই কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জু-এ পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেশকিছু নতুন জীবজন্তু এখানে আনা হয়েছে। বিশেষ করে চিতাবাঘ ও পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। নতুন দু’টি এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেশি-বিদেশি পাখি রাখা হবে। গত বছর ৫২ প্রজাতির সাড়ে ছ’হাজার পরিযায়ী পাখি এসেছিল। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রসিকবিল মিনি জু’র বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে জলাভূমি। সেই জলাভূমিতেই শীতে ভিনদেশি পরিযায়ী পাখির দল আসে। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রচুর পাখি চলে এসেছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে সেলফি পয়েন্টগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও শিশুদের খেলার জায়গা সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। এবার পর্যটকরা এখানে এলে ১১টি চিতাবাঘ, ২৬৬টি হরিণ, তিনটি পাইথন, ১১টি ঘড়িয়াল, তিনটি গোসাপ, তিনটি সজারু, তিন প্রজাতির ৪০টি টিয়া, চারটি ময়না সহ আরও নানা প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন। এছাড়াও চারটি সান প্যারাকিট, আটটি কোকাটেল এবং দু’টি ম্যাকাও রয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)