লেখালেখির জগতে নিজেকে তুলে ধরছেন ময়নাগুড়ির মানবকুমার
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: শখ করে লেখা প্রবন্ধ লিখে স্কুলে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ময়নাগুড়ির মানবকুমার মণ্ডল। স্কুলের শিক্ষক সেই সময় তাঁকে জানিয়েছিলেন লেখাটা চালিয়ে যেও। আর শিক্ষকের সেই কথাই যেন ‘বর’ হয়েছে মানবকুমারের। বাংলা ভাষায় কবিতা লেখার জন্য একটি সংস্থার তরফে সাহিত্য সম্মান পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও অন্য সংস্থা থেকে পেয়েছেন শংসাপত্র। আজ ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শালবাড়ির যুবক মানবকুমার মণ্ডল এলাকায় পরিচিত নাম।
কৃষক পরিবারের ছেলে মানবের পরিচয় এখন কলকাতা পর্যন্ত। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অন্য লেখকদের বইতে তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহিত্য সম্মেলনে ডাকও আসে তাঁর। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ কিছুদিন আগে তাঁকে নিজের উদ্যোগে সংবর্ধিত করেছেন। আগামী দিনে নিজের নামে কবিতার বই প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। সেই জন্য প্রচুর কবিতা তিনি ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন।
ময়নাগুড়ি ব্লকের ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে আসা মানবের বাবা ললিত মণ্ডল। তিনি পেশায় কৃষক। মানবকুমার বাংলায় এমএ পাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছি। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। আর এই প্রবন্ধ লেখার জন্য স্কুল থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। শিক্ষকরা উৎসাহিত করেছিলেন। আর তখন থেকেই লেখার প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়। শিক্ষকদের কাছ থেকে সেদিন যে আশীর্বাদ পেয়েছি, তা আমার চলার রাস্তা প্রশস্থ করেছে। ময়নাগুড়ি কলেজে পড়ার সময় থেকে কবিতা লেখালিখি শুরু করি। লকডাউনের সময় গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর কবিতা লিখেছি। কিছুদিন আগে কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলায় অন্য লেখকের বইতে আমার কবিতা স্থান পেয়ে প্রকাশিত হয়েছে। আজকাল মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে ছাত্র-যুব সমাজ। কিন্তু লেখাপড়ার আলাদা একটি কদর আছে। বই পড়া, গল্প পড়া, কাব্যগ্রন্থ পড়া এসবের মধ্য দিয়ে বিশাল জ্ঞান সঞ্চয় হয়। সেদিন স্কুলের শিক্ষকদের সেই কথা— ‘তোমাকে এগিয়ে চলতে হবে’, সেটাই যেন আমার কাছে আশীর্বাদ হয়ে এগিয়ে চলার পথ মসৃণ করে দিয়েছে। ময়নাগুড়ি থানার আইসির হাত থেকে সংবর্ধনা পাচ্ছেন মানবকুমার। - নিজস্ব চিত্র