দীঘার জগন্নাথ মন্দির: তৈরি হবে ২ হাজার পুণ্যার্থীকে ভোগ খাওয়ানোর পরিকাঠামো
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের পরিষেবা উন্নয়নে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিনই মন্দির দর্শনে প্রচুর মানুষ আসছে। পর্যটকদের কাছে দীঘার আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা ক্ষেত্রে কী কী উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করেন মন্ত্রী তথা হিডকোর চেয়ারম্যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন দুপুরে প্রায় দু’ঘণ্টা মন্দির ট্রাস্টের সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। মন্দির দর্শনে মানুষের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উন্নত পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বর্তমানে মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের জন্য বসে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ট্রাস্ট কমিটি। সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ বসে ভোগ গ্রহণ করতে পারেন। আগামী দিনে কীভাবে এই ব্যবস্থা অন্তত দু’হাজার মানুষের জন্য করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। এর জন্য তোড়জোড়ও শীঘ্রই শুরু হচ্ছে বলে খবর। বর্তমানে শামিয়ানা খাটিয়ে ভক্তদের বসানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ভোগ পাওয়ার জন্য স্থায়ী ভোজনালয় করা যায় কি না, আলোচনা হয়। ভোজনালয় তৈরির ব্যাপারে মন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান প্রশাসনিক আধিকারিক ও মন্দির ট্রাস্টের সদস্যরা। ভোগের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে, সেই দিকেও বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের যাতে কোনওভাবেই অসুবিধা না হয়, তা মন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। মন্দিরের প্রতিটি গেটে প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য হুইল চেয়ার রাখা হয়েছে। ভিড়ের সময় যাতে হুইল চেয়ারের অভাব না পড়ে, সেই ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় জমে জগন্নাথ মন্দির চত্বরে। আসন্ন বড়দিন ও নিউ ইয়ারেও ব্যাপক ভিড় হবে। তার আগে জগন্নাথ মন্দির আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ভিড়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে বলা হয়েছে। মন্দিরে নিরাপত্তারক্ষীরা যাতে প্রতিটি কোণে সজাগ দৃষ্টি রাখেন, সেই নির্দেশ দেন চন্দ্রিমাদেবী।
এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দির মানুষের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আগামী দিনে মন্দিরে কী করলে মানুষকে আরও বেশি পরিষেবা দেওয়া যাবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীকে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করার কথা হয়েছে।’ বৈঠকে ছিলেন হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজশ্রী মিত্র, জেলাশাসক ইউনিস রিসিন ইসমাইল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) বৈভব চৌধুরী প্রমুখ। ছিলেন ডিএসডিএ’র আধিকারিকরাও। নিজস্ব চিত্র