• গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবির তদন্তে নামল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, এখনও তিনজনের খোঁজ নেই
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: গত সোমবার ভোরে গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। ট্রলারের পাঁচ মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। দেহ উদ্ধার হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর। এখনও নিখোঁজ তিন। এবার ঘটনার তদন্তে নামল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। শুক্রবার এই দপ্তরের আধিকারিকরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাকদ্বীপের মৎস্য বন্দরে আসেন। তাঁরা ওই ট্রলারের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি খতিয়ে দেখেন। এছাড়াও জাহাজ থেকে যে পাথর ও সিমেন্টের তৈরি ভারী বল ছুড়ে মারা হয়েছিল, সে গুলিও হাতে নিয়ে দেখেন। ট্রলারের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চিহ্নিত করে ছবি তোলেন। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক জয়কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘সেদিন সমুদ্রে কি ঘটেছিল? কখন ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল? বাংলাদেশি উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজে কতজন ছিলেন? তাঁরা জাহাজ থেকে ট্রলারে নেমে ছিলেন কি না? জানতে চান আধিকারিকরা।সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ সত্যিই ওই ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরেছে কি না, তিনি মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছে জানতে চান। এই ঘটনার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও তিনি প্রশ্ন করেন। তারপরই সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।’ এদিকে, শুক্রবার বিকেলে মৎস্যজীবী শ্রমিক পরিবারগুলির পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলের শেষে এসডি ১৯ বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সভা থেকে মৎস্যজীবীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবি তোলেন। তবে এই ঘটনার পর পাঁচদিন কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারের তিনজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের খোঁজে সমুদ্রে তল্লাশি চলছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)