সংবাদদাতা, বনগাঁ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুক্রবার সেই আগুনের আঁচ এসে পৌঁছয় বনগাঁর পেট্রাপোল - বেনাপোল সীমান্তে। শুক্রবার বেনাপোল সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডের ৫০০ মিটারের মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল করে সেদেশের ছাত্র-যুব সংগঠন। সূত্রের খবর, সংগঠনের আড়ালে জামাত শিবিরের প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্র-যুব ভারত বিরোধী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। মিছিল থেকে ওসমান হাদিকে পরিকল্পিত হত্যা এবং দিল্লির বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ আনা হয়। লং মার্চ টু বেনাপোল কর্মসূচি হিসেবে বেনাপোল সীমান্তে ওই বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ বাংলাদেশি ছাত্র-যুবদের বিশাল মিছিল বেনাপোল নো ম্যানস ল্যান্ডের দিকে আসতে শুরু করে। প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মিছিল আটকে দিলেও, পেট্রাপোল সীমান্তে তার প্রভাব পরে। ভারত বিরোধী স্লোগান শোনা যায় মিছিল থেকে। সীমান্ত পারাপারকারী যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এদিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের কুমিল্লার বাসিন্দা চম্পারানী সোম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে, তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।’ চট্টগ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আমার দেশ। এর সমাধান কীভাবে হবে জানি না।’
এদিকে বাংলাদেশে নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওদেশে বেনাপোল স্থল বন্দরে থাকা আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাক চালকরা। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এবিষয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমরা বিষয়টি বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছি। তাঁরা ভারতীয় ট্রাক চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জানিয়েছেন। বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাজিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, যশোর প্রশাসন ট্রাক চালকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তাঁদের বিনা কারণে বন্দর এলাকার বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ছাত্র-যুবদের মিছিল। -নিজস্ব চিত্র