• ওড়িশা থেকে চোরাই ফোন এনে বিক্রি, চক্রের হদিশ জিআরপির
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওড়িশার ঝাড়সুগুদার মোবাইল চোরের এক গ্যাংয়ের থেকে হ্যান্ডসেট কিনে মুর্শিদাবাদে বিক্রি করত একটি চক্র। জিআরপির তল্লাশিতে খোঁজ মিলল ওই চক্রের। নইমুদ্দিন শেখ নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে উলুবেড়িয়া জিআরপি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৯টি চোরাই মোবাইল ফোন, একাধিক ব্যাটারি সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী। মোবাইলগুলির সফটওয়্যার বদলে এগুলি মুর্শিদাবাদে পাঠানো হত এবং চোরাচালানে যুক্ত কারবারি ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তা বিক্রি করা হত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    ১৬ ডিসেম্বর সকালে সম্বলেশ্বরী এক্সপ্রেস উলুবেড়িয়া স্টেশনে থামে। সেখানে ডিউটি করছিলেন জিআরপি ও আরপিএফের অফিসাররা। এক যুবককে ট্রেন থেকে ব্যাগ হাতে নামতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সন্দেহের বশে তাকে আটক করে ব্যাগ তল্লাশি করে রেল পুলিশ। দেখা যায়, ওই ব্যাগে ৫৯টি মোবাইল ফোন রয়েছে। ফোনগুলির নথি চাওয়া হলে নইমুদ্দিন তা দেখাতে পারেনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওড়িশার ঝাড়সুগুদা থেকে এই মোবাইলগুলি সে নিয়ে এসেছে। এগুলি চোরাই মোবাইল। অনেকদিন ধরেই সে এই কাজ করছে। এইসব মোবাইল ফোন মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ ও নিউ ফারাক্কায় বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে তার। সেখানে এমন ফোনের প্রচুর ক্রেতা রয়েছে। এরপর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

    তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পারে, ঝাড়সুগুদায় চোরাই মোবাইল বিক্রির একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে। বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ঝাড়সুগুদায় এনে জমা করে চোরদের বিভিন্ন গ্যাং। চোরাই মোবাইল কেনাবেচা করে যারা, তারা সেখান থেকে কিনে নিয়ে আসে। তবে মোবাইল বিক্রির আগে সফটওয়্যার বদলে দেওয়া হয়। যাতে চুরি যাওয়া মোবাইল পুলিশ ট্র্যাক করতে না পারে।

    রেল পুলিশ জেনেছে, ঝাড়সুগুদা থেকে আনা চোরাই মোবাইল ফোন যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন অপরাধী ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অপরাধের ক্ষেত্রে এই মোবাইলগুলি ব্যবহার করছে দুষ্কৃতীরা। কারা এই মোবাইলগুলি কিনেছে, ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)