নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এর আগে কোপে পড়েছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না। আর এবার ক্রিকেট দুনিয়ার পাশাপাশি অভিনয় জগৎও। বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সম্পত্তি অ্যাটাচ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এখানেই শেষ নয়, বেটিং অ্যাপ প্রচারের টাকায় আর এক অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা যে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তাও বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি সম্পত্তি ক্রোকের তালিকায় যুক্ত হলেন সোনু সুদ, যুবরাজ সিং, রবিন উথাপ্পার মতো সেলিব্রিটিরাও।
বেআইনি বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চক্র। একের পর এক অর্থ তছরুপের অভিযোগ। আম জনতার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ‘হাতিয়ে’ নেওয়ার পরও কিছুই ফেরত না দেওয়া। দেশজুড়ে পরপর অভিযোগ জমা পড়তেই টনক নড়ে কেন্দ্রের। যাবতীয় বেটিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। আর তারপরই ইডির তদন্ত এবং লাগাতার পদক্ষেপ। কোভিডের সময় ‘জন্ম’ নেওয়া এই বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছিল ইডি। শুধু সংস্থা নয়, যাঁরা এমন বেআইনি কর্মকাণ্ড ‘প্রোমোট’ করেছেন, তাঁরাও চলে আসে এজেন্সির স্ক্যানারে। সেলেবদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত সরকার নিষিদ্ধ করার পরও সংস্থার হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন তাঁরা। অনেকে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও হয়ে যান। এর বিনিময়ে বিপুল টাকা রোজগার করেন তাঁরা। তা দিয়ে কেনেন সম্পত্তি। এজেন্সি তদন্তে নেমেই এই খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য অভিযুক্ত সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত করে। একইসঙ্গে তাঁদের বলা হয়, চুক্তিপত্র সহ ইডি দপ্তরে এসে দেখা করুন। এই প্রক্রিয়া চলে বারবার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাঁদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা, অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা, সোনু সুদ, যুবরাজ সিং, রবিন উথাপ্পাসহ আরও অনেকে। তাঁরা সকলেই সম্পত্তির হিসেব জমা দেন। সেখান থেকে বেটিং অ্যাপের টাকায় কেনা সম্পত্তিগুলি চিহ্নিত করেন ইডি আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে ৭.৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লক্ষ, অঙ্কুশ হাজরার ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা বলেন, ‘পুরোটাই আমার আইনজীবী দেখছেন। আমি কোনও কথা বলব না।’