• তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভাকে শো-কজ় নোটিস ধরাল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, শোরগোল
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভাকে শো-কজ় নোটিস ধরাল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। খড়্গপুর পুরসভার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ না করা, আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়া, পর্যাপ্ত আলো না থাকা-সহ একাধিক অভিযোগ গত ১৭ ডিসেম্বর পৌঁছয় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে। এর পরেই পুরকর্তৃপক্ষকে শো-কজ় নোটিস ধরানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, খড়্গপুর পুরসভা নাগরিকদের পুর-পরিষেবা দিতে ব্যর্থ, এই মর্মে একটি ‘মাস পিটিশন’ জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সেখানে রয়েছে কয়েকজন কাউন্সিলারের অভিযোগও। সে ক্ষেত্রে কেন খড়্গপুরের ‘পুর-বোর্ড’ ভেঙে দেওয়া হবে না? সাতদিনের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের নোটিস ধরানোর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে পুরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘এটা আমাদের দলেরই কয়েকজন কাউন্সিলারের কাজ। তাঁরাই সবসময়ে বিরোধিতা করে এসেছেন। চিঠি পাঠানোর আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে অভিযোগের সত্যতা জানতে তদন্ত করা উচিত ছিল।’ তাঁর সংযোজন, ‘পানীয় জলের যে সমস্যা ছিল তা মেটানো হয়েছে। গত কয়েকদিন জলাধার পরিষ্কারের কাজ চলছিল। সে জন্য কয়েকটি জায়গায় জলের সমস্যা হচ্ছে। খড়্গপুর পুরসভাতে দীর্ঘদিন ধরে যে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা ছিল, তাও মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। হিরাডিহিতে প্রতিদিন ২০ টন করে বর্জ্য ফেলা হয়।’ এ ছাড়াও পুরপরিষেবা দেওয়ার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। নিকাশি সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, তার জন্য রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। একাধিক বার চিঠি দেওয়ার পরেও রেলের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁর। আগামী মঙ্গলবার বা বুধবার পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারকে নিয়ে বৈঠকে করার কথা জানান তিনি। এর পরেই দেওয়া হবে শো-কজ়ের জবাব। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলার যদি বোর্ড ভেঙে দিতে চান, তাতেও তিনি রাজি বলে জানান কল্যাণী।

    এ বিষয়ে খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা শহরের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মধু কামি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের তরফেও এই অভিযোগ করা হয়েছিল। পুর বোর্ড নাগরিক পরিষেবা দিকে ব্যর্থ।’ অন্য দিকে, বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, ‘তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড খড়্গপুরবাসীকে সঠিক ভাবে পরিষেবা দিতে পারেনি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে এই শো-কজ়ের নাটক।’ পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘উন্নয়নের সঙ্গে সরকার কোনও সমঝোতা করে না। তাই বিরোধীদের কথায় এ ক্ষেত্রে কিছু আসে যায় না। সরকারি বিষয়ে বা পুরসভার বিষয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করা ঠিক নয়।’

  • Link to this news (এই সময়)