নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যেসব কেন্দ্রে শুনানি হবে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। কিন্তু পরে বিবেচনা করা হয়, সিসিটিভি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। একথা ভেবেই পরে মাইক্রো-অবজারভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুনানি পর্বের কার্যক্রমের উপর নজর রাখতে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, কোল ইন্ডিয়া এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীদের মাইক্রো-অবজারভার হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
মাইক্রো-অবজারভার নিয়োগের অনুমতি চেয়ে গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। শুক্রবার সেই চিঠিরই জবাবে মাইক্রো-অবজারভার নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাইক্রো-অবজারভারদের কাজ হবে এসআইআর-এর শুনানির সময় নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাত ইআরও এবং সহকারী নির্বাচনী আধিকারিক তথা এইআরও-দের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজে নজর রাখা। জানা গিয়েছে, বাংলা জুড়ে ৩ হাজার ৬৯ জন এইআরও শুনানি এবং নথি যাচাইযের কাজে নিযুক্ত করা হবে।
এনুমারেশন পর্ব শেষ হয়েছে গত ১১ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষেরও বেশি নাম। শুক্রবার থেকেই ভোটারদের নোটিস দেওয়া শুরু হওয়ার কথা। প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় রেখেছে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে তাঁরা নিজেদের যুক্ত থাকার প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এছাড়াও ১.৬৭ কোটি ভোটারকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এঁদের ফর্মে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখানোর জন্য ডাকা হতে পারে। একই সঙ্গে নতুন ভোটারদের শুনানিও হবে।
মাইক্রো-অবজারভাররা শুনানি ও যাচাইপর্বে ডাকা প্রতিটি মামলা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠাবেন। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, শুনানির পর এইআরও-দের আপলোড করা নথিপত্রের পাশাপাশি মাইক্রো-অবজারভারদের প্রতিবেদনও পরীক্ষা করে দেখবে কমিশন। যোগ্য ভোটার যাতে বাদ না পড়েন এবং ভোটার তালিকায় যাতে কোনও অযোগ্য নাম অন্তর্ভুক্ত না হয় তা খতিয়ে দেখবে কমিশন।