নয়াদিল্লি: যাত্রীর সঙ্গে বচসা। ঘুসি মেরে নাক ফাটালেন স্বয়ং পাইলট। দিল্লি বিমানবন্দরের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব আক্রান্ত যাত্রী। অভিযুক্ত পাইলটের নাম ও ছবি প্রকাশ্যে আনেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে অভিযুক্ত পাইলটের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান সংস্থা। ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঘটনা গত শুক্রবারের। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছিলেন অঙ্কিত দেওয়ান। সন্তানদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র চার মাস। সিকিওরিটি চেকের লাইনে ওই শিশুকে দেখেই তাঁদের অন্য একটি লাইনে যেতে বলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। ওই লাইন মূলত বিমান কর্মী বা পাইলটদের ব্যবহারের জন্য। সন্তানদের নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকেন অঙ্কিত। অভিযোগ, এইসময় এক পাইলট লাইন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ জানান অঙ্কিত। তাতেই যত বিপত্তি। অঙ্কিতকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে ওই পাইলট জানিয়ে দেন, এই লাইন সাধারণের ব্যবহারের জন্য নয়। শুধু তাই নয়, এগিয়ে এসে সজোরে অঙ্কিতের মুখে ঘুসি চালান। বাধা দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না অঙ্কিত। নাক ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড হয় বিমানবন্দরের মধ্যেই। যে পাইলট এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁর নাম ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র সেজওয়াল। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে তিনি যুক্ত। অন্য এক সংস্থার বিমানে যাত্রী হিসেবে সওয়ার হয়েছিলেন। তার আগে সিকিওরিটি চেকের লাইনে অঙ্কিতের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি অভিযুক্ত পাইলটকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরে তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনা সম্পর্কে লেখার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিসিএ এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে উল্লেখ করেছেন অঙ্কিত। কীভাবে এই ধরনের পাইলটকে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে, পুলিশের দাবি এ বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।বিমান সংস্থা বা আক্রান্ত ব্যক্তির তরফে অভিযোগ দায়ের হলেই পদক্ষেপ করা হবে।