হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি মামলা: ব্রিটিশ ‘মিডলম্যান’ মিচেলকে মুক্তির নির্দেশ
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কপ্টার দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ‘মিডলম্যান’ ক্রিশ্চিয়ান মিচেল জেমসকে শনিবার হেপাজত থেকে মুক্তির নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অর্থ তছরুপ সংক্রান্ত এই মামলায় স্বস্তি মিললেও সিবিআইয়ের দায়ের করা অন্য মামলায় জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। সেই মামলায় জেমসের মুক্তির আর্জি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন। তবে অর্থ তছরুপের মামলায় মুক্তির নির্দেশ জারি হওয়ার পর এদিন ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের প্রশংসা শোনা গিয়েছে এই ব্রিটিশ নাগরিকের কণ্ঠে।
অর্থ তছরুপের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের। বিচার চলাকালীন সর্বোচ্চ শাস্তির সেই মেয়াদ জেলে কাটিয়ে ফেলায় মুক্তির আর্জি জানিয়েছিলেন জেমস। সিবিআইয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ও অর্থ তছরুপের মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট আগেই জামিন মঞ্জুর করেছিল তাঁর। তবে শর্ত হিসেবে পাসপোর্ট ও দুই মামলায় পাঁচ লক্ষ টাকা করে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেই অর্থ এখনও জমা করেননি জেমস। আর হেপাজতে থাকার মধ্যেই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অর্থ তছরুপের মামলায় এদিন এই বিদেশি নাগরিককে হেপাজত থেকে মুক্তির নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত। এবিষয়ে জেমস বলেন, ‘ভারতে কয়েকজন খুব ভালো বিচারপতি রয়েছেন। আমি ভাগ্যবান। আদালতের নির্দেশে সন্তুষ্ট। ভারতের সংবিধান অসাধারণ।’
ভিভিআইপিদের জন্য হেলিকপ্টার কেনায় দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ উঠেছিল। অর্থ তছরুপের অভিযোগে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কপ্টার মামলায় তদন্তে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২০১৩ সালে মামলা দায়ের করে সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, বরাত পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কপ্টারের উড়ান সংক্রান্ত উচ্চতার শর্ত লঘু করা হয়। ঘুষ হিসেবে হাতবদল হয় ২০০ কোটি টাকার। এই মামলায় ‘মিডলম্যান’ হিসেবে অভিযুক্ত জেমসকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ সাত বছর জেলে কাটিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মুক্তির আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। অর্থ তছরুপের মামলায় এদিন দিল্লির আদালত সেই আর্জিতে সায় দিল।