ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি বন্ধ না হলে ‘পদক্ষেপ’, ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি নয়াদিল্লির
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অবিলম্বে ভারত বিরোধী উসকানি ও পরিকল্পিত প্রচার বন্ধ করতে হবে ইউনুস সরকারকে। এব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে নয়াদিল্লি কড়া পদক্ষেপের বিকল্প খোলা রাখছে। শীঘ্রই সেই বার্তা দেওয়া হবে ঢাকাকে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গতিপ্রকৃতি দেখে প্রবল ক্ষুব্ধ ভারত সরকার। বিশেষ করে বারংবার ভারত বিরোধী প্রচার, প্রকাশ্য প্ররোচনা, হিন্দুদের উপর অত্যাচার—কোনও বিষয়েই মহম্মদ ইউনুসের সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। একটিও বিবৃতি দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, রাজশাহীতে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় প্রচ্ছন্ন সরকারি সমর্থনেরই আভাস পাচ্ছে দিল্লি। আগামী ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকায় পা রাখার কথা বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার আগে ও পরে বাংলাদেশে আগুন জ্বলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই উসকানিমূলক প্রচারে ইউনুস সরকার অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা না গ্রহণ করলে ভারত কঠোর কোনও বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এই মর্মেই ঢাকাকে বার্তা দিতে চলেছে ভারত সরকার। সরকারি না হলেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমন আভাস ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে থাকা বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতকে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি ভারত বিরোধী উগ্র চক্রান্তকে কড়া হাতে দমনের কোনও বার্তা বাংলাদেশ থেকে পাওয়া না যায়, তাহলে ভারত কড়া পদক্ষেপ করবে।
ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারের দপ্তর লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কেন্দ্রীয় সরকারের আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বানচাল করে অগণতান্ত্রিক সরকার ও শাসন কায়েম করার একটি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশর অন্দরে। ফলে ইউনুসের সরে যাওয়ার মতো কোনও আকস্মিক ঘটনাও খুব শীঘ্র ঘটতে পারে। কূটনৈতিক প্রোটোকল বজায় রেখেই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের দিকে লক্ষ্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তিস্তা সহ জল ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না এখন। বিগত কয়েকদিনের ঘটনার পর সরকার আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে। সেই কারণেই সীমান্তে আধা সামরিক বাহিনীর টহল ও প্রহরার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রদানে কঠোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার ভিসার আবেদন করা হলে সেই ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ নিয়ে সবথেকে বড়ো স্ট্র্যাটেজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে দ্রুত।