বিমানবন্দরের সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জ থেকেই ফোনে ভাষণ নরেন্দ্র মোদির
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: ঘন কুয়াশার কারণে কপ্টার বিভ্রাট। তাই শেষ পর্যন্ত রানাঘাটের তাহেরপুরে সভাস্থলে নামতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ফোনের মাধ্যমে ওই সভায় বক্তব্য রাখতে হয়। সেই সূত্রেই এদিন বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, এই সময় তিনি চা ও ডাবের জল ছাড়া আর কিছু খাননি।
শনিবার সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে কলকাতা এয়ারপোর্টে নামে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে কপ্টারে তাহেরপুরের দিকে রওনা হন তিনি। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাহেরপুর থেকে ফেরত আসে মোদির কপ্টার। এরপর বিমানবন্দরের ‘সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জ’-এ সময় কাটে তাঁর। এই লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ দেশের নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিই পেয়ে থাকেন। ভিভিআইপি লাউঞ্জের থেকেও অধিক সুরক্ষা বেষ্টনীতে মোড়া ‘সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জ’। টার্মিনাল এরিয়ার বাইরে কার্গো সেকশনের কাছে এই লাউঞ্জ রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি আসার অনেক আগে থেকেই এই লাউঞ্জ চলে যায় এসপিজির নিয়ন্ত্রণে। কলকাতা বিমানবন্দরের তরফেই এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভার্চুয়াল ভাষণের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ছিল, সেটি ব্যবহার করেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু ওই ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ না করায় টেলিফোনেই বক্তব্য রাখেন মোদি। সূত্রের খবর, এই লাউঞ্জে বসে ডাবের জল আর চা পান করলেও কারও সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে খবর নেই। দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটের বিমানে মোদি কলকাতা থেকে রওনা হয়ে যান। সব মিলিয়ে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিটের বঙ্গ সফর! তার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই তাঁর কেটেছে বিমানবন্দরের ওই লাউঞ্জে। কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া কলকাতা বিমানবন্দরে এত দীর্ঘ সময় আর কোনও প্রধানমন্ত্রী কাটিয়েছেন—এমন নজির নেই। এদিন কলকাতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।