• উত্তুরে হাওয়ার পাশাপাশি পুবালি বাতাস ঢোকায় বাড়ছে ঘন কুয়াশা
    বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তুরে হাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের দিক থেকে পুবালি বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে বেড়ে গিয়েছে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। তাই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় শনিবার সকালে কুয়াশা ও কিছুটা মেঘলা আকাশ ছিল। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও  ছিল কুয়াশা। 

    গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভোরের দিকে কুয়াশা পড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছিল আবহাওয়া দপ্তর। বিক্ষিপ্তভাবে কুয়াশা হচ্ছিলও বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু শনিবার ভোরে কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায় ও আকাশ মেঘলা হয় বাংলাদেশের দিক থেকে পুবালি বাতাস ঢোকার কারণে। পুবালি বাতাসের সঙ্গে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ার কারণেই এই পরিস্থিতি। সকালের দিকে বেশ কয়েক ঘণ্টা এই পরিস্থিতি ছিল। আজ, রবিবার ভোরের দিকে কুয়াশা পড়লেও পরে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। 

    শনিবার সকাল থেকে সারাদিন মেঘলা আকাশ থাকার পাশাপাশি উত্তুরে হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় শীতের অনুভূতি ভালোই ছিল। ভোরবেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৬.২ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ১.১ ডিগ্রি বেশি ছিল। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ার জন্য দুপুরবেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (২০.৭ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ৫.৪ ডিগ্রি কম ছিল। তাই দিনভর ভালোরকম শীতের অনুভূতি মিলেছে। চলতি শীতের মরশুমে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই প্রথম এতটা কম হল। এতদিন পরিষ্কার রোদ ঝলমলে আকাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটামুটি ২৪-২৫ ডিগ্রির আশপাশে ছিল। শনিবার দক্ষিণবঙ্গে সবথেকে কম তাপমাত্রা (১১ ডিগ্রি) ছিল পুরুলিয়াতে। সমতল এলাকার মধ্যে রাজ্যে শীতলতম ছিল আলিপুরদুয়ার (১০ ডিগ্রি)। দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪.৪ ডিগ্রি। 

    প্রসঙ্গত, এদিন বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে নদীয়ার তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার নামতে পারেনি। আবহাওয়াবিদদের মতে, হালকা কুয়াশা থাকলেও কলকাতা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর বিমান নামার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয়নি। কারণ সেখানে এরকম কুয়াশা থাকলেও বিমান নামানোর ব্যবস্থা আছে। কিন্তু তাহেরপুরে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে সেরকম কোনও ব্যবস্থা না থাকায় কপ্টার নামানোর ঝুঁকি নেওয়া যায়নি বলে মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)