যুবভারতী কাণ্ড: শতদ্রুর সংস্থা এবং সহযোগীদের অ্যাকাউন্টে থাকা ২০ কোটি ‘ফ্রিজ’ সিটের
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: যুবভারতী কাণ্ডে ধৃত শতদ্রু দত্ত, তাঁর সংস্থা ও সহযোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। অ্যাকাউন্টে থাকা ২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে বলে খবর । এই টাকা টিকিট বিক্রি করে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে যে সংস্থা মেসির অনুষ্ঠানের স্পনসর ছিল, তাদের সমস্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।শতদ্রু দত্তকে শুক্রবার দফায় দফায় জেরা করেন সিটের সদস্যরা। তদন্তকারীদের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান করার জন্য তিনি সকলের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন। তার আগে অনুষ্ঠানের খসড়া সবাইকে পাঠানো হয়। মাঠের ভিতর মেসির কাছে ক্লোজ প্রক্সিমিটিতে কতজন যেতে পারবেন, তাঁদের কতদূরে থাকতে হবে তার উল্লেখ ছিল। তদন্তকারীদের কাছে শতদ্রু দাবি করেছেন, টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। ভিভিআইপি দের জন্য নির্দিষ্ট কোটা ছিল টিকিটের। সেটি তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপরেও চাপ আসতে থাকে বাড়তি টিকিটের জন্য। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর টিকিট নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কারা সেগুলি নিয়েছিলেন, তাঁদের নামও জানিয়েছেন অভিযুক্ত। সিট তাঁকে জেরা করে জেনেছে, টিকিট বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি স্পনসর ছিল। যা দিয়ে মেসির পুরো টাকা আগেই মিটিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই গ্রিন সিগন্যাল মেলে মেসির তরফে। স্পনসর ছাড়া এই বিপুল টাকা মেটানো সম্ভব ছিল না। সমস্ত স্পনসররাই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। লেনদেনের সেই হিসাব খতিয়ে দেখেই তদন্তকারীরা সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেন। সমস্ত অ্যাকাউন্ট মিলে ২০ কোটির বেশি টাকা রয়েছে। অভিযুক্তের দাবি, বাকি টাকা পেমেন্ট হয়েছে। সেই কারণে মেসির তরফে যিনি টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে মেল করে এই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে। যাতে লেনদেনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যায়। একইসঙ্গে স্পনসর যারা যারা ছিল তাদের কাছ থেকে চুক্তির কপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং তাদের নামে কত টিকিট ইস্যু করা হয়, তার তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।-ফাইল চিত্র