নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উল্টোডাঙা থেকে কাদাপাড়া, সময় লাগছে ৪৫ মিনিটের বেশি। পার্ক স্ট্রিট থেকে সায়েন্স সিটি পৌঁছতে রাস্তায় কাটছে দেড় ঘণ্টা। বেহালা থেকে ধর্মতলায় আসতে ঘড়ি ধরে ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রাভেল-টাইম ৪০-৫৫ মিনিট।
বর্ষশেষ হতে এখনও সপ্তাহ দেড়েক বাকি। তার আগেই ফেস্টিভ মুডে শহর কলকাতা। কেউ যাচ্ছেন উইক এন্ড পার্টিতে। আবার কেউ মেলায়। একইসঙ্গে অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীদের ভিড়। দোসর শীতকালীন পিকনিক। ভিন জেলা থেকে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর, ইকো পার্ক, নিক্কোপার্কে ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তার জেরেই শহর কলকাতায় যানজটে নাকাল আমজনতা। দুপুরের পর থেকেই রাস্তায় সারি সারি গাড়ির লাইন। বেড়ে যায় বড় ক্রসিংয়ের স্টপেজ টাইম। শেক্সপিয়ার সরণি-এজেসি বোস ক্রসিংয়ের স্টপেজ টাইম ১৪০ সেকেন্ডে। এক্সাইড মোড়ের সিগন্যালে দু’মুখী যান চলাচলের ক্ষেত্রেই ৯০-১২০ সেকেন্ড পর্যন্ত দাঁড়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। যদিও শহরে এই যানজটের নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে লালবাজার।
কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শহরে আচমকাই দুপুরের পর থেকে যানবাহনের ঘনত্ব (একটি নির্দিষ্ট রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা) বেড়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পরবর্তী সিগন্যালে। ছোট ছোট রাস্তার ক্রসিংগুলিতে যানজটের জেরে শ্যামবাজার, শোভাবাজার, মহাত্মা গান্ধী রোড-সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ক্রসিং, শিয়ালদহ, ধর্মতলা, পার্ক সার্কাস, এক্সাইড, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট টালিগঞ্জ সহ একাধিক রাস্তায় তীব্র যানজটে ভুগতে হয় মানুষকে। এক্সাইড মোড়ে সুনন্দ সরকার নামে এক বাইকচালকের কথায়, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে এক্সাইড মোড় পৌঁছতে প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। বুড়োশিবতলায় আমার বাড়ি, রাস্তায় যা জ্যাম, তাতে আরও ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।
শনিবার শহরে পারদ বিশেষ না নামলেও, ঠান্ডার আমেজ ছিল বেশ। উত্তুরে হাওয়া উপভোগ করতে সকাল থেকেই চিড়িয়াখানার বাইরে ছিল লম্বা লাইন। সারাদিনের পিকনিক সেরে বিকেলে চিড়িয়াখানা থেকে পর্যটকদের বেরনোর সময় আলিপুর রোড প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। যার রেশ পড়ে পিটিএস, ডিএল খান রোড ক্রসিংয়েও। সন্ধ্যাতে মা ফ্লাইওভারে, ই এম বাইপাস, উল্টোডাঙায় যানজট আরও বেড়েছে। যানবাহনের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে যোগ রয়েছে সন্ধ্যার কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। লালবাজারের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, দক্ষিণে কলামন্দিরে নামী গায়কের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাতে যানজটে কাহিল হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একাংশ। স্বভূমিতেও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রচুর গাড়ির সমাগম হয়। ফলস্বরূপ বাইপাসে যানজট। এছাড়া পার্ক সার্কাসে