নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খাতায়-কলমে শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সকাল থেকেই শহরের আকাশে তেমন রোদের তেজ ছিল না। সঙ্গে ছিল ঠান্ডা বাতাস। সেই ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগিয়ে পার্ক স্ট্রিট থেকে নিউ মার্কেট, রবীন্দ্র সদন থেকে ভিক্টোরিয়া হুল্লোড় করল মানুষ।
শনিবার শহরের ফুটপাত ধরে হাঁটলেই ঠান্ডা বাতাস গায়ে লেগেছে। এতদিন দুপুরের দিকে প্রবল রোদের তাপে গায়ে গরম জামা রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রোদের তাপ কম ছিল, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসের জেরে গরম জামা ত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না। সকালে জিম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মানিকতলার বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু সাহা। বললেন, ‘অন্যান্য দিন দুপুরের দিকে বাড়ি ফেরার সময় গায়ে গরম জামা রাখা যায় না। আজ বেশ ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। একটু ঠান্ডা পড়া ভালো।’ এদিকে দুপুর হতেই শহরের পথে তরুণ-তরুণীদের ভিড় চোখে পড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘পার্ক স্ট্রিটে ২৫ ডিসেম্বর খুব ভিড় থাকে। তাই এক সপ্তাহ আগেই এলাম। সন্ধ্যা হলেই আলো জ্বলবে। তখন ছবি তুলব বলেই আসা।’
আবার খুদেদের নিয়ে বাবা-মা’রা বেরিয়ে পড়েছিলেন ভিক্টোরিয়া, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, চিড়িয়াখানায়। অনেকে পৌঁছেছিলেন ইকো পার্কে। সোনারপুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা রায় বলেন, ‘ময়দানে কিছুক্ষণ ছিলাম। খুব ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। প্রতিবছরই এই সময় একদিন অন্তত বেরই। পরিবারের সকলের সঙ্গে একটা দিন কাটানো আর কি।’
একটা দিন কাটাতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া না হলে নয়! আর এমন দিনে কেউ বাড়ি থেকে টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে এসেছেন। ময়দানে বসেই খাওয়া-দাওয়া চলল। কিন্তু বাইরের খাবার না খেলে নয়। ‘আমরা বাড়ি থেকে রান্না করে দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এই ভিক্টোরিয়ার সামনে ভেলপুরিটা না খেলে মনে হয়, কী যেন একটা হল না’, বললেন পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ‘তাপমাত্রা খাতায়-কলমে যাই থাকুক। এমন শীতের আমেজ থাকলে বছর শেষের দিনগুলো একেবারে জমে যাবে।’