• প্রেমের টানে যুবককে খুন স্ত্রীর প্রেমিকের
    আজকাল | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে 'পথের কাঁটা' ছিলেন স্বামী। ছুরি দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্ত্রীর প্রেমিক। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘিরে মগড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে মগড়া থানার পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, মগড়ার শেরপুর এলাকায় বাড়ি প্রসেনজিৎ দাসের(৩৬)। সাটারিংয়ের কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর স্ত্রী রত্না দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলাগড় নিত্যানন্দপুরের সুব্রত ভক্তর।

    প্রসেনজিৎ ও রত্নার ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন সুব্রত ও রত্না। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রসেনজিৎ এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মানতে চাননি বলে দাবি পরিবারের। যা নিয়ে স্ত্রীর প্রেমিক সুব্রতর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় প্রসেনজিতের।

    প্রসেনজিতের মা কল্পনা দাস বলেন, 'গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সুব্রত মত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসেছিলেন। প্রসেনজিতকে ডাকাডাকিও করেন। সেই সময় তাঁকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি। ঠিক তখনই প্রসেনজিৎ কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। হঠাৎ তারপরই ছুরির কোপ মারতে শুরু করেন সুব্রত। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত প্রসেনজিতকে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে যুবকের।' 

    খবর পেয়ে মগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসবাদ করে। প্রসেনজিতের বোন খবর পেয়ে মগড়া থানায় যান। তিনি বলেন, বৌদির সঙ্গে সুব্রতর প্রেম অনেক দিনের। তা নিয়ে অশান্তি হত পরিবারে। ছেলের কথা ভেবে দাদা মানিয়ে চলতেন। তিনি আরও অভিযোগ, 'আমার বৌদি তাঁর প্রেমিককে দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছেন। আমরা দু'জনেরই শাস্তি চাই।' এই ঘটনার পর মগড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। 

    গত নভেম্বর মাসের শেষে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। রাতের অন্ধকারে ধানখেত থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আলতা গ্রামে। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ ভাঙ্গার অঞ্চল সংলগ্ন একটি ধানখেতের ভিতরে একটি হাত দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক মহিলার নিথর দেহ। মৃতার পাশে পড়ে ছিল দুই জোড়া জুতো। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম ফরিদা বেগম (৩৫)। তাঁর স্বামী বাবলু হোসেন পেশায় টোটোচালক। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধূপগুড়ি থানার উদ্যোগে দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। মহিলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানা গেছে। 

    অন্যদিকে, মৃতার পরিবারের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকেই এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযোগের তীর সরাসরি স্বামী বাবলু হোসেনের দিকে। তবে ঘটনার পর থেকেই বাবলুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর হদিশ মিলছে না, যা রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে। হঠাৎ ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। 
  • Link to this news (আজকাল)