• ১.৩৬ কোটি ভোটারের তথ্যে অসংগতি, নথি যাচাইয়ে ফের বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলওরা
    প্রতিদিন | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠা ভোটারদের মধ্যে প্রায় ১.৩৬ কোটি জনের ক্ষেত্রে তথ্যে নানাবিধ অসঙ্গতি মিলেছে। বিপুল সংখ্যক এই ভোটারদের তথ্য আদৌ ত্রুটিপূর্ণ কিনা, তা ফের মিলিয়ে দেখার জন্য শনিবার নতুন ফিচার আনা হল বিএলও অ্যাপে। কমিশনের নির্দেশ, ওই ১.৩৬ কোটি ভোটারের বাড়ি গিয়ে তথ্যের অসঙ্গতি ফের যাচাই করে অ্যাপে আপলোড করতে হবে। একইসঙ্গে তথ্যগুলি যে তিনি নিজে যাচাই করে দেখেছেন, সেকথা জানিয়ে মুচলেকা দিতে হবে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএলওদের সংগঠনগুলি। এসবের পাশে এদিনও এসআইআর আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে আত্মহত্যা করেছেন এক প্রৌঢ় ব্যবসায়ী।

    কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জনের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক তথ্য মিলেছিল। এদের মধ্যে বাবার নাম মেলেনি ৮৫,০১,৪৮৬ জনের। একই ব্যক্তিকে দিয়ে ছয় বা তার বেশি ভোটার প্রোজেনি ম্যাপিং করিয়েছেন, এমন সংখ্যা ২৪,২১,১৩১। ১১,৯৫,২৩০ জনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাবার সঙ্গে সন্তানের বয়সের ফারাক ১৫ বছর বা তারও কম। বাবা ও সন্তানের বয়সের ফারাক ৫০ বছর বা তার বেশি ৮,৭৭,৭৩৬ জনের। ১৩,৪৬,৯১৮ জনের লিঙ্গ বা জেন্ডার মেলেনি। ৪৫ বছর বেশি বয়স হওয়া সত্ত্বেও ২০০২-এর তালিকায় নাম নেই, এমন ভোটারের সংখ্যা ২০,৭৪,২৫৬। ৩,২৯,১৫২ জনের ক্ষেত্রে ঠাকুরদা বা ঠাকুরমার সঙ্গে বয়সের ফারাক ৪০ বছর বা তার কম। পরবর্তীকালে নতুন করে যাচাই করার পর সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে। ১.৩৬ কোটিতে। এদের সবাইকে শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    তার আগে সত্যি তথ্যে অসঙ্গতি না বিএলওদের আপলোড করার সময় ভুল হয়েছে, তা দেখে নিতেই এই নতুন ফিচার। যদিও এই নতুন কাজের চাপ ও মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে বিএলও ঐক্য মঞ্চ, বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি-সহ বিএলওদের সব সংগঠনই। এসবের মধ্যেই এদিন থেকে শুনানির জন্য নোটিস দেওয়ার কাজ শুরু করল কমিশন। এদিন সকালে দিল্লি থেকে নোটিসের কপি পাঠানো হয়েছে বিএলওদের। প্রাথমিকভাবে যে ৩০.৫৯ লক্ষ ভোটার ২০০২-এর তালিকার সঙ্গে নিজেদের ম্যাপিং করতে পারেননি, তাদেরই নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)