আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাড়তে চলেছে ট্রেনের ভাড়া। নতুন ভাড়া কত হবে? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এ বার নতুন ভাড়ার কাঠামো প্রকাশ করল ভারতীয় রেল। লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। তবে দামি হতে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২১৫ কিলোমিটারের মধ্যে যাঁরা জেনারেল কামরাতে(অর্ডিনারি ক্লাস) ভ্রমণ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।
২১৫ কিলোমিটারের পর থেকে জেনারেল কামরাতে (অর্ডিনারি ক্লাস) ভ্রমণের জন্য প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে নন-এসি ও এসি ক্লাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ছে ২ পয়সা করে। নন এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য ১০ টাকা বেশি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। শহরতলির ট্রেন এবং মান্থলি টিকিটের দাম বাড়ানো হচ্ছে না।
অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দেওয়ার জন্য ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
এই ভাড়া বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ভাড়া বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত ৬০০ কোটি টাকা আয় হবে তাদের। গত এক দশকে রেলের নেটওয়ার্ক বিস্তর সম্প্রসারণের কথাও জানানো হয়েছে। ট্রেনের পরিষেবার পাশাপাশি বৃদ্ধি হয়েছে কর্মীক্ষমতাও। এই মুহূর্তে রেলের কর্মীদের জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। পেনশন বাবদ খরচ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার কোটি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেলের পরিচালন ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা। অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দেওয়ার জন্য ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দূরপাল্লার ট্রেনের যে ভাড়া বাড়ল, তাতে যাত্রীদের যাতে খুব সমস্যা না হয়, সে চেষ্টা করেছে রেল। যাত্রী পরিবহণ থেকে লাভের মুখ দেখতে প্রায় ভুলেই গিয়েছে ভারতীয় রেল। এমন অবস্থায় দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া ওই কয়েক পয়সাই বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল বোর্ড। তবে এতে কতটুকু লাভ হয়—তা সময়ই বলবে।