এই সময়, বনগাঁ: শেষ পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটল বনগাঁ পুরসভার। শনিবার তলবি সভায় কাউন্সিলারদের সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন দিলীপ মজুমদার। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন জ্যোৎস্না আঢ্য।
নতুন চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, উন্নয়নের কাজে গতি আনার পাশাপাশি এ বার থেকে প্রতি রবিবার তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে বনগাঁ পুরসভা। ওই দিন বনগাঁবাসীর অভাব, অভিযোগ শুনবেন তিনি। এর আগে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন গোপাল শেঠ। তাঁকে দল পদত্যাগ করতে বললেও তিনি বেঁকে বসেছিলেন। তার ফলে গত প্রায় একমাস ধরে বনগাঁ পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।
দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে গত ১০ ডিসেম্বর তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। নতুন চেয়ারম্যান বাছাই করতে শনিবার তলবি সভা ডাকা হয় বনগাঁ পুরসভায়। এই সভায় হাজির ছিলেন ২০ জন কাউন্সিলার। তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে বনগাঁ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিলীপ মজুমদারকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। দিলীপ বনগাঁ পুরসভার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার।
পেশায় সোনার ব্যবসায়ী দিলীপ তৃণমূলের অত্যন্ত বর্ষীয়ান নেতা এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক ভাবমূর্তি রয়েছে। তাই তাঁকেই নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নিয়েছে দল। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন জ্যোৎস্না আঢ্য।জ্যোৎস্না আগেও এই দায়িত্বে সামলেছেন। যদিও গোপাল শেষ ছুটিতে যাওযার আগে জ্যোৎস্নাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এ দিন তলবি সভায় ফের জ্যোৎস্নাকেই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়।
বনগাঁ পুরসভার একজি়কিউটিভ অফিসার সুরেশচন্দ্র হীরা বলেন, এতদিন চেয়ারম্যান না থাকায় একটা অস্থির পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু বনগাঁ শহরের উন্নয়ন এবং দৈনন্দিন নাগরিক পরিষেবা সচল ছিল। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েই দিলীপ মজুমদার বলেন, ‘বনগাঁ পুরসভা এলাকায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার নাগরিক আছেন। তাঁদের কাছে উন্নয়ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’
সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, এ বার থেকে প্রতি রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বনগাঁ পুরসভা নাগরিকদের জন্য খোলা থাকবে। আমিও পুরসভায় থাকব। নাগরিকদের অভাব অভিযোগ শুনে উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না বলেন, ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বনগাঁয় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে।’